মোস্তফা মিয়া,পীরগঞ্জে(রংপুর) থেকে:
রংপুরের পীরগঞ্জে ডিউটি শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে মাদকসেবিদের মারপিটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে গ্রাম পুলিশ সাফায়াত মিয়া। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মাদকসেবিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গত (০১ ডিসেম্বর) শনিবার রাতে ১টার দিকে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের কলোনি বাজারের অনন্তরামপুর গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, টুকুরিয়া ইউনিয়নে রাতের ডিউটি শেষে হরনাথপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে গ্রাম পুলিশ সাফায়াত মিয়া বাড়ির পাশে কলোনি বাজারে চা খেতে যায়। সেখা থেকে ফেরার পথে অনন্তরামপুর গ্রামের জৈনক দাইয়ার বাড়ি সামনে ৪ ব্যক্তি মাদক সেবন করে চিল্লাপাল্লা করতে থাকে। গ্রাম পুলিশ সাফায়াত মিয়া তার হাতে থাকা টর্চ লাইটের আলো মাদক সেবনকারিদের দিকে ধরে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের হাতের লাইট কেড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। টর্চ লাইটের আঘাতে তার শরীরে ছেলা ফুলাসহ মাথা ফেটে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ভেন্ডাবাড়ী তদন্ত কেন্দ্রের টহল পুলিশের পিকাপ টের পেয়ে মাদকসেবিরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সাফায়াত কে বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। অইরাতেই তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। মাথার ক্ষতস্থানে ১২ টি সেলাই দেন কর্তব্যরত ডাক্তার।
স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় দিন-রাত মাদক সেবন ও বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার পুরাতন এবং নতুন মাদক কারবারিদের কর্মকান্ড বেড়েছে। প্রকাশে তারা মাদক বিক্রি করছে এবং রাতের বেলায় মাদকের জমজমাট আসর বসায়। এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে গ্রামে গ্রামে মাদক সেবন এবং বিক্রি করছে। এদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া দাবি জানান তারা।
ঘটনার বিষয়ে সাফায়াত জানান, অনন্তরামপুর গ্রামের দূর্গার ছেলে সুনীল চন্দ্র, বুদুয়া মিয়ার ছেলে আপন, ইয়াছিন আলির ছেলে নিয়াজুল ইসলাম এবং হরনাথপুর গ্রামের এমাজ উদ্দীনের ছেলে সাজু মিয়াসহ ৪ ঘটনাস্থলে মাদক সেবন করে চিল্লাপাল্লা করছিল। আমি টুকুরিয়া ইউনিয়নের রাতের ডিউটি শেষে কলোনি বাজারে চা খেতে যাই। দোকান বন্ধ সেই কারনে বাড়িতে ফিরছিলাম হঠাৎ তাদের চিল্লাপাল্লা শুনে লাইটের আলো ওদের মুখে ধরি আর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আটক করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তাদেরকে অনুরোধ করার পরে-ও আমার হাতে থাকা সরকারি লাইন কেড়ে নিয়ে মারপিট করতে থাকে। আমার হুঁশ ছিল না ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ বাড়িতে পৌঁছে দেয় আমাকে এবং আমি রোববার ৪ ব্যক্তির নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানায় ওসি এমএ ফারুক মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে মাদক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।