ঢাকার উত্তরা থেকে সন্ত্রাসী ফারুক ও কামরুলকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব
খবরের সময়:
টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গোলাগুলিতে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এজহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ফারুক হোসেন ও কামরুল'কে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ আনুমানিক রাত ১১.১০ ঘটিকায় টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের কাঠুয়া এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ কতিপয় সন্ত্রাসী কর্তৃক অতর্কিতভাবে হামলা ও আক্রমনে বেশকয়েক জন গুলিবৃদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ও আহত ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৫, তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩। উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিণ্য ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা উক্ত ঘটনায় জড়িত এজহারনামীয় অন্যতম প্রধান আসামি ১। ফারুক হোসেন (৪০), পিতা-মৃত সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগী ২। কামরুল (৩৪), পিতা-মৃত বারেক, থানা ও জেলা টাঙ্গাইলদেরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
প্রাথমিকভাবে মামলার এজাহারে বর্ণিত তথ্য ও প্রতক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায় যে, গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ ভিকটিম রোকন, এমদাদ, সিয়ামসহ ৪-৫ জন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ী ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১১ ঘটিকায় টাঙ্গাইলের কাঠুয়া যোগনী এলাকায় পৌঁছালে গ্রেফতারকৃত ফারুক হোসেন ও কামরুলের নেতৃত্বে বেশকয়েক জন সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমদের উপর অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় ভিকটিম রোকন, এমদাদ ও সিয়াম এর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। ভিকটিমদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমদের উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিমদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আরো জানা যায় যে, ভিকটিমদের সাথে গ্রেফতারকৃতদের পূর্ব থেকেই আন্তঃকোন্দল ছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং অতি উৎসাহী হয়ে উক্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘঠিত করেছে বলে জানায়।
গ্রেফতারকৃত ফারুক উক্ত ঘটনার পর সে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়। সে ইতিপূর্বে অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত কামরুল ফারুকের অন্যতম সহযোগী। উক্ত ঘটনার পর সে ফারুকের সাথে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়। সে ইতিপূর্বে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।