সহকারী কমিশনার ভূমির হস্তক্ষেপে হারানো জমি ফিরে পাচ্ছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অসহায় বিধবা স্ত্রী 242 0
ছবি,হারুন অর রশিদ,সহকারী কমিশনার ভূমির
বাদল,কুষ্টিয়া থেকে :
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মৃত হারান মালিথা গ্রাম আমলা, পোষ্ট আমলা সদরপুর, থানা মিরপুর জেলা কুষ্টিয়ার ছেলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন 'র ১৫ শতক বন্দোবস্ত নেওয়া জমি মিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি হারুন অর রশীদের হস্তক্ষেপে ফিরে পেতে পারেন বলে দাবী করেছেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী মোছাঃ সাহিদা বেগম ও তার কন্যা। এই বিধবা নারী বলেন, আমার স্বামী ২০০০ সালে ১৫ শতক জমি আমার স্বামী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন ও আমার ছেলের নামে বন্ধোবস্ত নেই,সেই জমির সন্ধান পেলে আমি মিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট আমার স্বামীর রেখে যাওয়া জমি যাহাতে আমি ফেরৎ পেয়ে একটু মাথা গুজার ঠাই পাই । এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করি। মিরপুর সহকারী কমিশনার ভূমি আমাদের অভিযোগ দেখে আশ্বস্ত করেন যে আমি আপনাদের অভিযোগটি দেখবো এবং আপনার স্বামীর যদি জমি বন্দোবস্ত নেওয়া থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার জমি পাবেন,এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে,এই বিধবা নারীর স্বামীর যে ৪৪৩ দাগে ১৫ শতক জমি বন্দোবস্ত নেওয়া ছিল ।
একি দাগে ৮ শতক জমি চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা নুর হোসেনের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন, এলাকাবাসীর মধ্যে এখন নানা রকম প্রশ্ন জেগে উঠেছে । বন্দোবস্ত যদি পায় তাহলে নিজ এলাকার বাসিন্দা পেতে পারে, কিন্তু অন্য জেলার বাসিন্ধা কিভাবে এই জমির বন্দোবস্ত পেতে পারে? আরও জানা যায় একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাপের জামাই চুয়াডাঙ্গা জেলার বাসিন্দা নুর হোসেনের নামে ঐ আট শতক জমি বন্দোবস্ত আছে। এলাকাবাসীর দাবী শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিধবা নারী খুব অস্বচ্ছল । তার সন্তানদের নিয়ে অসহায়ত্ব জীবনযাপন করছেন । তাকে তার জমি ফিরিয়ে দেওয়া জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি মিরপুরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন,এবং সহকারী কমিশনার ভূমি যে অভিযোগটি পাওয়ার সাথে সাথে ওই জমিতে সরেজমিনে গিয়েছেন সেজন্য এলাকাবাসী তার দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনা করেছেন ।
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যেই আবাসন বরাদ্ধ দেওয়া হয় সেই মুক্তিযোদ্ধার বিধবা নারীকে দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মিরপুর সহকারী কমিশনার ভূমি হারুন অর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী তার স্বামীর ১৫ শতক ভূমিহীন জমি বন্দোবস্ত নেওয়া ছিল বলে দাবী করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন গত ১৯/৯/২২ তারিখে, সেই অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে,জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় কাগজপত্র দেখে অবশ্যই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।