বৃহস্পতিবার শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
সম্মেলনে আধুনিক প্যান্ডেল নির্মাণসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে বিপুল বাজেট রাখা হয়েছে বলে দলের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।সম্মেলনকে ঘিরে গাজীপুর জেলা,উপজেলা ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নেতাদের ছবিসহ রং-বেরংয়ের পোস্টার,ফেস্টুন,ব্যানার ও তোরণ শোভা পাচ্ছে।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এবং সম্মেলনের মঞ্চ ও সজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো.দেলোয়ার হোসেন জানান,১৪ মে থেকে গাজীপুরে ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেল ও মঞ্চতৈরিসহ আনুসাঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকার সাউন্ড ফেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এসব নির্মাণ করার কাজ দেওয়া হয়েছে। ৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০০ ফুট প্রস্থের ওয়াটার প্রুফ টেন্টে (প্যান্ডেল) থাকছে ২৫ হাজার লোকের আসন ব্যবস্থা। ২৫ হাজার ডেলিগেটের জন্য বিভিন্ন হোটেলে ২৫ হাজার প্যাকেট তৈরি মোরগ-পোলাও এবং পানীয়ও থাকবে। প্রতিজনের জন্য ১৬০ টাকা খরচ হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠান চলাকালে ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে ২০০৩ সালের ২৯ জুন একই স্থানে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও আজমত উল্লাহ খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।
এরপর ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর সম্মেলন ছাড়াই কেন্দ্র থেকে আ ক ম মোজাম্মেল হককে পুনরায় সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে। পরে ২০১৭ সালের ২২ জুলাই পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়। এরপর আর সম্মেলন হয়নি।
সাউন্ড ফেয়ার-এর স্বত্তাধিকারী সাহানুর ইসলাম শিবলী জানান,এ সম্মেলনে নির্মিত ওয়াটার প্রুফ টেন্ট,স্টেজ,লাইটিং,লাইভকরণ ও সাউন্ড সিস্টেম,চেয়ার-সোফা সরবরাহসহ আনুসাঙ্গিক কাজের জন্য তাদের সঙ্গে ৩৩ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে।