সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানস্থ মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে ।
হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের আস্ফালন বন্ধ করতে হবে। জনগণের সুবিধার্থে জিনিসপত্রের দামও কমাতে হবে। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালি হয়ে যুদ্ধ করেছেন মন্তব্য করে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘জয় বাংলা’ বলে আত্মাহুতি দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ব্যর্থতা যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে, সাম্প্রদায়িকতার আলখেল্লা পড়ে বিভক্ত করা হচ্ছে। ‘ও পাড়ায় হিন্দু, ও পাড়ায় মুসলিম, মানুষ কোন পাড়ায়’ মন্তব্য করে ইনু বলেন, ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতা করবে না, ভাগ করবে না, বৈষম্য করবে না। সব পাড়ায় বাঙালি দেখতে চাই, সব পাড়ায় মানুষ দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে সংবিধানে এখনও সাম্প্রদায়িকতার ছাপ আছে, সামরিক শাসনের ছাপ আছে। বঙ্গবন্ধুর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, পাকিস্তান যখন গঠন করা হয় তখনও বাংলাদেশে হিন্দু ছিল ৩৩ শতাংশ। সেটা বর্তমানে কমতে কমতে এখন ৭.৯ শতাংশে নেমেছে। সেসময় পাকিস্তানের সংসদে এমপি ছিল ৭২ জন, বর্তমানে সেটা কমতে কমতে ১৬ জনে নেমেছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হলেও কোনো হিন্দু এমপি এর প্রতিবাদ করেননি। এজন্য ধর্মীয় সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে আসন নির্ধারণ করতে হবে। সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আগত হিন্দু মহাজোটের চার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গোবিন্দ প্রামাণিক। হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় লোকসভার সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম।