জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের স্থল-জগন্নাথগঞ্জ ঘাট (জেটি ঘাট) সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে কথিত রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় চাচা ক্ষ্যাত মকবুল মাষ্টার,ভাতিজা মোঃ ফরহাদ হোসেন নেতা,ভাগিনা মাসুদ রানা মোঃ জাকির হোসেন নামে প্রভাবশালী এক বালুখেকো সিন্ডিকেট।
এই সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। যাতে শত শত বসত ঘরবাড়ী,বিদ্যালয়,বাজারের দোকান ও আশেপাশের প্রায় তিন/চার শত একর ফসলি আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।পাশাপাশি অত্র এলাকার পরিবেশ ভীষণ ভাবে হুমকির মুখে পতিত হচ্ছে।
এই বালু প্রতিদিন শত শত ট্রাকে বালু বোঝাই করে জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করা হচ্ছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রির এ হিসেবে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার বালু বিক্রি হচ্ছে। যাতে সরকার প্রতিমাসে হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। সেই বালু বোঝাই শত শত ট্রাক চলাচলে পরিবেশ সহ ঘরবাড়ি রাস্তা ঘাট,বয়স্ক লোক,কোমলমতি শিশু ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও জানা যায়। সেই সাথে জনগণের যাতায়াতে ভীষণ অসুবিধা হয় এবং মাঝে মধ্যে ছোট বড় দূর্ঘটনাও ঘটে থাকে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন।
পাশাপাশি ভূক্তভুগি এলাকাবাসী ক্ষোভের সাথে জানান এরকম অনেক সাংবাদিক এসে লোকজনের সাথে কথা বলে,ছবি তোলে চলে যায় কিন্তু এতে কোন প্রতিকার হয়না। এতে বালু ক্ষেকো মাস্তনেরা উল্টা এলাকার লোকজন ও আামাদেরকে ধরে মারধর,গালি-গালাজ এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এবিষয়ে প্রসাশনের অভিযোগ করেও কোন সহযোগিতা পাননি বলে জানান তারা।
এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক
ক্ষোভের সাথে অভিযোগ করেন,অবৈধভাবে বালু উত্তলোন কারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রসাশন তাদের কিছু করেন না এবং বলেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মূল হোতা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মোঃ মকবুল মাষ্টার।
এবিষয়ে প্রথমে প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে রাজি না হলেও পরে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে যেতে বলেন, তিনি উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন,পরে প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে দিতে গিয়ে শেষে তিনি বলেন, আমরা কারোর অনুমতি না নিয়ে নিজেরাই বালু উত্তোলন করছি।
এলাকার সাধারণ জনগণ মার খাওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই মকবুল মাষ্টার ও তার ভাতিজা মোঃ ফরহাদ এরা বর্তমান এমপি'র সমর্থক হওয়ায় তারা প্রভাব দেখিয়ে এই অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবাসা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বর্তমান এমপির স্থানীয় প্রতিনিধি শাখাওয়াত আলম মুকুল অস্বীকার করে বলেন, যারা এই অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে তারা কেউ এমপি মহোদয়ের সমর্থক নন। তাদের সাথে আমাদের এমপি মহদোয়ের কোন যোগাযোগ নেই। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে বলতে চাই, এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার ভূমি সাদ্দাম হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান,এই অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।