শুধু তাই নয়,তহশিলদাররা অবৈধভাবে আয়ের উদ্দেশ্যে নামজারির কেস প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। ভুক্তভোগীদের এই ধরনের অভিযোগ প্রচুর রয়েছে, কিন্তু দেখার কেউ নেই! ১৪২২ বাংলা সালে সরকার ভূমি উন্নয়ন করের রেট যুগোপযোগী ভাবে বৃদ্ধি করায় দেখা যায়, ২৫ বিঘার নিচের ভুমির মালিকের কাছে থেকে মওকুফের দাখিলা দুই টাকার স্থলে ১০ টাকা, আবাসিক (কাঁচা) ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা, বিল্ডিং সাত টাকার স্থলে ২০ টাকা, গ্রামে বাণিজ্যিক ১৫ টাকার স্থলে ৪০ টাকা আর পৌর এলাকায় বাণিজ্যিক ২২ টাকার স্থলে ৫০ টাকা এবং বিভাগীয় শহরে রেট আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে তহশিলদাররা বর্তমান রেট অনুসারে ডিম্যান্ড তৈরি না করে আগের পুরাতন রেটে বাৎসরিক মনগড়াভাবে ডিমান্ড লিখে দাখিল করে থাকে, যাতে তারা নিজেরা চুক্তিতে বা মনগড়া ভাবে খাজনা আদায়ের রসিদ প্রদান করে লাভবান হতে পারে,সেই কৌশল তৈরি করে রাখে। এ ব্যাপারে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট তহসিলদাররা ভুমি মালিকদের কাছে প্রথমে বর্তমান রেটে হিসাব করে বড় এমাউন্ট ধরিয়ে দেয়, পরে সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তিতে পূর্বের রেটে বা জমির আকার পরিবর্তন করে খাজনার রসিদ কেটে দেয়। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করায় তহশিলদাররা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জিরো থেকে হিরো হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক তহসিলদার তাদের দেয়া স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণীর অতিরিক্ত হিসাবের বাইরে ধরা পড়ার ভয়ে বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, শ্যালক, শ্বশুর-শাশুড়ি বা বিভিন্ন নিকটাত্মীয়ের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কিনছে। এমনকি অনেক তহসিলদার তাদের ছেলে মেয়েদেরকে অনেক ব্যয়বহুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়া করাচ্ছে, তার মাসিক বেতন বা আয়ের সাথে ব্যয়ের হিসাব মিলালেই বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়ালের ন্যায় তাদের দূর্নীতির নাতিদীর্ঘ খতিয়ান।