এস এম বাদল,কুষ্টিয়া থেকে:
শনিবার (৮ অক্টোবর, ২০২২ইং) রাত ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া চৌড়হাস "ফুলতলা ল্যাবরেটরি স্কুল" এর সামনের গলির এলাকায় আরিফুল হক (৪০) নামের এক ব্যাংকারের গোপনাঙ্গ কেটে পালিয়েছে তারই স্ত্রী। তার স্ত্রীর নাম খালেদা পারভীন। সে যশোর জেলার চুরামনকাঠি এলাকার কাজী হাফিজুল্লাহর মেয়ে।
আহত আরিফুল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের কাচারী খাদিমপুর এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে ও সোনালী ব্যাংক হরিনারায়নপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার।
আরিফুলের বড় ছেলে নাজমুস সাকিব জানান, রাত ৮ টার দিকে ঘটনা ঘটেছে। বাসায় কোন ভাড়াটিয়া ছিলনা। তখন এশার আযান হচ্ছিলো। আম্মু তখন বলছিলো, তুই নামাজ পড়তে যা, আর দোকান থেকে কিছু নিয়ে আসিস। আমি নামাজ পড়ে দোকান থেকে এসে দেখি আব্বু চিল্লাচ্ছে। আব্বু সবাইকে ডাকাডাকি করছে আর পড়ে যাচ্ছে। তখন আব্বু আমাকে বললো অটো ডেকে নিয়ে আয়। তারপর অটো ডেকে নিয়ে আসলাম। তারপর চাচারা এসে আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে আসলো। এর আগে কোন ঝগড়া-বিবাদেরর ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ করেই এমন হয়ে গেলো। তবে আম্মু, আব্বুকে অনেক সন্দেহ করত।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান,বিশেষ অঙ্গের ৮০ ভাগ কেটে পড়ে গেছে৷ কেটে যাওয়া অংশ খুজে না পাওয়ায় বিশেষ অঙ্গ আর ঠিক করা যাবেনা।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।