রমজানে রাজধানীর যানজট কমাতে ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে কোনো বাসই সড়কে বাস রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন গ্রহণ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২. ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃজেলা ও দূর পাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না।
৩. ভ্রমণকালে ঢাকা মহানগরের প্রবেশ ও বাহির পথের গণপরিবহনগুলো শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে যেন কোন অযাচিত যানজটের সৃষ্টি না হয়।
৪. ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে।
৫. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রী বা গমন প্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান করা হলো।
৬. ঢাকা মহানগরী থেকে দূরপাল্লার রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলে এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
৭. বাসের ভিতর যাত্রীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
৮. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন।
৯. যাত্রীদের মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
১০. কোন যানবাহনেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না।
১১. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন না যেন বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানির সম্ভবনা থাকে।
১২. সকালে অফিসে গমনকারী সবাইকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া।
১৩. ইফতার সন্নিকটে বাসায় রওনা না দিয়ে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া।
১৪. স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিক্সা, সিএনজি, বাস ইত্যাদি বাহন ব্যবহার না করে পায়ে হেঁটে চলাচল করা।
১৫. টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।