খবরের সময় ডেস্ক :

আর কত প্রাণ গেলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন ? ৭/৯/২০১৯ ইং তারিখ দিবাগত রাত (৮/৯/২০১৯) আনুমানিক ১:৫০ ঘটিকার সময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা থানাধীন বোর্ড বাজারস্থ মনসুর আলী সুপার মার্কেটর নীচ তলায় অবস্থিত বাংলার রাঁধুনি রেস্তোরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। উক্ত বিস্ফোরণে ১ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছিল। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছিলেন। পাঁচ সদস‍্য বিশিষ্ট  তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করেন। এই পযর্ন্তই সবার দায়িত্ব শেষ। এত বড় একটা দুর্ঘটনার পরও কিভাবে সেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি আবার নতুন করে চালু হলো ? সেই সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর নেয়ার প্রয়োজন আছে বলে কতৃপক্ষ মনে করেননি।

রাজউকের অনুমোদন, ফায়ার  সার্ভিসের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না নিয়ে কিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ  ভবনটি নতুন করে চালু করা হলো ফায়ার সার্ভিস, সিটি কর্পোরেশন বা গাজীপুর উন্নয়ন কতৃপক্ক্ষ কোনোদিন খবর নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। আরও জানা যায়,  বিস্ফোরণের ঘটনাকে অগ্নিকান্ড দেখিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানির সার্ভেয়ারকে ভূলভাল তথ্য রেষ্টুরেন্ট মালিক হাবিব ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন। উপরোন্ত যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাউকেই একটি টাকাও ক্ষতিপূরণ পায়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য বিগত ২৭/০৬/২০২১ তারিখ মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হওয়ার পর আতঙ্কগ্রস্ত ও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গত২৮/০৬/২০২১ তারিখ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেন। প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ কোনো ব‍্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আল্লাহ্ না করুক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আবারও যদি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে জরুরি বর্হিনির্গমন না থাকা ভবনের ভেতরে আটকে থাকা মানুষগুলোর পরিণতি যদি নতুন কোনো বেইলি রোড ট্রাজেডি তৈরি করে তাহলে তার দায়ভার কে নিবে ? ৮/৯/২০১৯ তারিখের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোরই বা কি হবে ? যারা পুর্বের দুর্ঘটনার ঋণের বোঝা এখনো বয়ে বেরাচ্ছেন। রাধুনি রেস্তোরার মালিক হাবিব ঠিকই ইন্সূরেন্সের টাকা দিয়ে তার ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন।রাশেদের মতো সন্তান হারানো মায়ের কোল ভরিয়ে দিবে কে?