অনিবন্ধিত সব হাসপাতালের তথ্য চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, লাইসেন্স ছাড়া হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিকগুলো নিজেদেরই বন্ধ করতে হবে। নাহলে কঠিন পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রণালয়। সুতরাং আমি কখনোই এ বিষয়ে ছাড় দেবো না। আপনারা জানেন,এরইমধ্যে আমি বলেছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান থাকবে।
তেমন অনুমোদনহীন হাসপাতালের ব্যাপারেও ছাড় দেওয়া হবে না। এ সময় আয়ানের মৃত্যুর বিষয়েও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা হবে। এরকম কার্যক্রম সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বলেন, শিশু আয়ানের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যতটুকু জানি, আগামীকালই (বুধবার) তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেবে। চিকিৎসায় যদি কোনো অবহেলা থাকে তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে আয়ান হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ চার দফা দাবি নিয়ে সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ ও তার পরিবার।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আয়ানের বাবা আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাশে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবীর বলেন, অনিবন্ধিতদের নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং বন্ধের অভিযান শিগগিরই শুরু হবে। তিনি বলেন, ইউনাইটেড হেলথ সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্স নিতেই হবে। সব মিলে প্রায় ৮ হাজার হাসপাতাল, ৯ হাজার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধিত রয়েছে। বড় হাসপাতাল বলে কোনো ছাড় নয়।
অনিবন্ধিত সব হাসপাতালের তথ্য চেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর: সারাদেশের অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তথ্য পাঠাতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এসব তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত অনিবন্ধিত (লাইসেন্স বিহীন) বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা বিনা ব্যর্থতায় ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো। সম্প্রতি খতনা করাতে গিয়ে ৫ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যু ও ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবন্ধন না থাকায় আবারও আলোচনায় আসে নিবন্ধন। এর আগেও কয়েক বার অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর। বন্ধ করা হয়েছে হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এবার নতুন করে উদ্যোগ নিলো অধিদপ্তর।