২৫জুন২০২২ইং বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে। পরদিন ২৬ জুন২০২২ইং থেকে টোল দেওয়া সাপেক্ষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে পদ্মা সেতু। এর ওপর দিয়ে চলাচল করবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গণপরিবহনগুলো।
এরই মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী সকল যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই টোলসহ ১৩ রুটের বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বিআরটিএর বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসে একজন যাত্রীর ভাড়া হবে ৪১২ টাকা ৩২ পয়সা। ঢাকা-রাজৈর-গোপালগঞ্জ রুটের বাসে চলাচলকারী ভাড়া ৫০৪ টাকা ২১ পয়সা।
ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা রুটের বাসে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৬৪৯ টাকা ৩৬ পয়সা, ঢাকা-জাজিরা-শরীয়তপুর রুটের বাস ভাড়া ২১৮ টাকা ৫৩ পয়সা, ঢাকা-বরিশাল-পিরোজপুর রুটের বাস ভাড়া ৫৩৪ টাকা ২০ পয়সা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ- পিরোজপুর-বাগেরহাট রুটের ভাড়া ৬২৮ টাকা ২৫ পয়সা।
ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী রুটের ভাড়া ৫০১ টাকা ৫২ পয়সা, ঢাকা-ভাঙ্গা-মাদারীপুর রুটের ভাড়া ৩২৭ টাকা ৫০ পয়সা, ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-সাতক্ষীরা রুটের ভাড়া ৬৩৩ টাকা ৫ পয়সা, ঢাকা-ভাঙ্গা-ফরিদপুর রুটের ভাড়া ২৮৮ টাকা ৩৯ পয়সা।
ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-ভোলা-চরফ্যাশন রুটের ভাড়া ৬৫৩ টাকা ৮৬ পয়সা, ঢাকা-বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু- শরীয়তপুরের ভাড়া ২১৯ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ঢাকা-মাদারীপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটে যাত্রীপ্রতি বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৪ টাকা ২৯ পয়সা।
বিআরটিএ'র পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত রুটের বাসগুলোর ঢাকায় যাত্রা শুরুর স্টেশন ধরা হয়েছে সায়েদাবাদ। অর্থাৎ সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোর ক্ষেত্রে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য সরকার নতুন করে টোল আরোপ করলে বাস ভাড়া আবার বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।