Khoborerchokh logo

আবারও পেঁয়াজ,রসুনসহ কাঁচা বাজারে ক্রেতাদের হিমশিম 246 0

Khoborerchokh logo

আবারও পেঁয়াজ,রসুনসহ কাঁচা বাজারে ক্রেতাদের হিমশিম

গত কয়েকদিনের অতি বৃষ্টির কারনে আবারও পেঁয়াজ,রসুনসহ কাঁচা বাজারে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে । রসুন,পেঁয়াজের,আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা মালের দাম বেড়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে । কয়েকদিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় দাম বাড়ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিনদিন আগে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫ এবং ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সংস্থাটির হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের দাম ৮২ শতাংশ বেশি এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৩৩ শতাংশ বেশি।


ঢাকার বিভিন্ন বাজারসহ গাজীপুরের জয়দেবপুর,চৌরাস্তা,বোর্ডবাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন ভারত থেকেও আমদানি কিছুটা কম। দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাব ভারতীয় পেঁয়াজে পড়েছে। তাই দাম বাড়ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার টন। তবে উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। গড়ে ৩০ শতাংশ নষ্ট হলেও মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২৪ লাখ টন। অন্যদিকে দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। সেই হিসাবে ২ থেকে ৪ লাখ টনের ঘাটতি থাকে। অথচ এর চেয়ে বেশি পরিমাণে আমদানি হয়েছে। তথ্য বলছে, গত ৫ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত আমদানি হয়েছে প্রায় তিন লাখ টন।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com