তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে:
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে গাইবান্ধা শহরের মমিনপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করছেন জনৈক মাহমুদ ও তার লোকজন। বাধার মুখে ও ভয়ে জমির মালিক মো. শফিকুল ইসলাম বাড়িতেও প্রবেশ করতে পারছেন না। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মমিনপাড়ার রফিক মিয়ার দুই স্ত্রী রসুলেন নেছা ও জরিনা বেগম। তিনটি দলিলের মাধ্যমে তিন দাগে মোট ৫৮ শতক জমি পাওয়ার কথা প্রথম স্ত্রী রসুলেন নেছার। তার নাতি শফিকুল ইসলাম। তিনি ও অন্যান্য ওয়ারিশরা জীবিকার প্রয়োজনে গাইবান্ধার বাইরে ছিলেন। তার পিতা মকসুদ আলম ও বড় ফুপু জয়নব বেগম মানবিক কারণে মোট জমির মধ্যে সোয়া ১৪ শতকে জরিনা বেগমের ওয়ারিশদের থাকতে দেন।
যে সোলেনামার মাধ্যমে তাদের থাকতে দেওয়া হয়েছিল, সেই সোলেনামায় নাবালক ও অন্যান্য ওয়ারিশদের স্বাক্ষর নেই। বর্তমানে বিএনপির প্রভাব দেখিয়ে জরিনার বেগমের বড় ছেলে মাহমুদ ও তার ভাইয়েরা বেশির ভাগ জায়গা দখলে নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এ নিয়ে গত ১৫ মে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮৩/২৫ এম আর মামলা দায়ের করা হয়। আদালত ১৪৪/১৪৫ ফৌজদারি কার্যবিধি জারি করলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে মারামারিতে লিপ্ত হন মাহমুদ ও লোকজন। তারা এক পর্যায়ে শফিকুলের ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা ভাগিনা বউ সুরভীর পেটে লাথি মারলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম আরও উল্লেখ করেন শহরের পুরাতন বাজারেও তাদের কিছু জায়গা ও দোকান রয়েছে। সেগুলোও অবৈধভাবে দখল করে আছেন মাহমুদের ছোট ভাই মাহফুজ। তিনি জামানত ও দোকান ভাড়ার টাকা তুলছেন নিয়মিত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জয়নব বেগম, নারগিস বেগম, মঞ্জু বেগম, চুমকি বেগম, আফরিন বেগম ও নীরব উপস্থিত ছিলেন।