সাজ্জাত হোসেন সাজু:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার দুই সাংবাদিকের সহায়তায় হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার। বুধবার সকাল ১০টার দিকে সিরাজদিখান থানার ওসির কক্ষে ওসি মুজাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে নিখোঁজ মো. কামাল হোসেনকে তার বাবা হাফিজুর রহমান প্রামানিকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
হাফিজুর রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা কর্ণপড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিসিক শিল্প এলাকায় কাজ করেন। ছেলে কামাল হোসেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশীপুর গেদ্দার বাজার এলাকায় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে। সে গত রোববার মাদরাসা থেকে হারিয়ে যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর আলী মার্কেটের মেহেদীর চায়ের দোকানে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বসে ছিল কামাল হোসেন (৯)। এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক মো. মোস্তফা ছেলেটির নাম পরিচয় জানতে চাইলে তার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা বলে জানায়। এখানে কীভাবে কোথায় আসছে জানতে চাইলে সে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় সাংবাদিক মোস্তফা রাজশাহীর বাগমারা থানার ওসির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
বাগমারার ওসি এ বিষয়ে তথ্য ও নিখোঁজের বিষয়টি সাংবাদিক মো. মোস্তফাকে জানালে অপর সাংবাদিক আরিফ হোসেন হারিছকে সঙ্গে নিয়ে সিরাজদিখান থানার ওসির সাথে এ বিষয়ে কথা বলে হারিয়ে যাওয়া মোঃ কামালকে (৯) নিজ হেফাজতে রেখে তার বাবার কাছে তুলে দেন।
সাংবাদিক মোস্তফা বলেন, আমি এই ছেলেটিকে পেয়ে আমার বাসায় নিয়ে গিয়ে বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ করে রাজশাহীর বাগমারা থানার ওসির সহায়তায় ছেলেটির স্বজনদের সন্ধান পেয়ে সিরাজদিখান থানায় আসতে বলি। স্বজনরা সিরাজদিখান থানায় এলে ওসির উপস্থিতিতে বাবা হাফিজুর রহমান প্রামানিকের কাছে ছেলেটিকে বুঝিয়ে দেই।
হারিয়ে যাওয়া মো. কামালের বাবা জানান, আমার ছেলেটি গত রোববার মাদরাসা থেকে হারিয়ে যায়। আমি তাকে অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছি। এ দুই সাংবাদিক ও ওসি স্যারের মাধ্যমে আমার হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। তাদের জন্য আমি দোয়া করি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন,দুই সাংবাদিক ভাইয়ের সহযোগিতায় ছেলেটিকে উদ্ধার করে তার বৈধ অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।