Khoborerchokh logo

গাছা থানা বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতাসহ চারজন হাসপাতালে 60 0

Khoborerchokh logo

গাছা থানা বিএনপি নেতার হামলায় যুবদল নেতাসহ চারজন হাসপাতালে

আশরাফুল আলম,গাজীপুরঃ
গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহতাবস্থায় যুবদল নেতাসহ কয়েকজন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার (১৯মে)২০২৫ ইং সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর উত্তর খাইলকুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 
এ বিষয়ে ভূক্তভূগী যুবদল নেতা সোহেল রানা বাদী হয়ে নগরীর গাছা থানায় বিএনপি নেতাসহ অন্তত ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪৫-৫০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ন্যায় বিচার চেয়েছেন। এর মধ্যে গাছা থানা বিএনপি নেতা খোরশেদ খাঁন (৬০) কে ১নম্বর অভিযুক্ত করে ১৩ জনসহ ৪৫-৫০জনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতা,সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনাসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।

অভিযোগে নগরীর গাছা মেট্রো থানার ৩৩নং ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুরের পলাগাছ রোডের বাসিন্দা আইনুল ইসলাম ও রেজিয়া বেগম দম্পতির ছেলে গাছা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের সদস্য সোহেল রানা বলেন, বোর্ডবাজার থেকে বাজার শেষে বাড়ি ফেরার সময় মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা বাড়ির সন্নিকটে প্রতিবেশির এক দোকান ভাঙচুর চালায়, সে দৃশ্য দেখে ফেলায় তার উপর পূর্ব শত্রুতার জেরে (যুবদলের রাজনীতি করায়) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় সোহেলসহ চারজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল বলেন, প্রতিবেশি দুই পক্ষের মধ্যে (সাবদুল ও সিদ্দিক) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো সিদ্দিক ঝামেলা করছিলো সাবদুলের সাথে,পরবর্তীতে ২লাখ টাকা চুক্তিতে খুরশিদ খাঁন সিদ্দিকের পক্ষে সাবদুলের স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করে। সোহেল আরও বলেন, আমি বাড়ি ফেরার পথে বাড়ির কাছে পৌঁছলে সাবদুল আমার প্রতিবেশি হবার সুবাদে আমি সাবদুলের হয়ে এগিয়ে এসেছি এমন ভূল বুঝে খোরশেদ খাঁন। পরে খোরশেদ খানের নেতৃত্বে হঠাৎ আমার উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে। তিনি বলেন হামলার খবরে আমার স্ত্রী তাহমিনা, রিহাদ ও তার মা রুজিনা এবং নিবিড় নামে কয়েকজন স্বজন এগীয়ে এলে তাদেরও হামলায় আহত করে খুরশিদ খাঁনের লোকজন। 

তিনি আরো বলেন রাজনৈতিক ভাবে খুরশিদ খাঁন আ'ওয়ামীলীগের লোকবল নিয়ে চলায় আমি সমর্থন করিনা তাকে। এ কারনে উভয় পক্ষের ঝামেলার সময় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষরা আমার উপর মিথ্যা অপবাদে হামলা চালায়। এসময় আমি সহ চারজন আহত হই। এমনকি হত্যা চেষ্টায় ধারালো অস্ত্রাঘাত ও গলা চেপে ধরে আমাকে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয় বিশ হাজার টাকা। পরবর্তীতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সোহেলকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়া হয় বলেও পুলিশে দায়ের করা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন সোহেল রানা। 

এ বিষয়ে রুবেল তার জীবণ ও পারিবারিক নিরাপত্তা চেয়ে বলেন, খোরশেদ খান বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চলে, সে আ'লীগের রাজনীতি করে এমন লোকজনের যোগসাজশে স্থানীয়দের মাঝে প্রভাব বিস্তারে নানা অপকর্মে জড়িত। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি সোহেল রানা-সহ আহত ভূক্তভূগীদের।

এ বিষয়ে কথা বলতে খোরশেদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি কল রিসিভ না করায় বিবাদীদের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে দায়িত্বশীলদের কলের স্ক্রিন-রেকর্ড প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত। 
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম হোয়াটসএ্যাপ কলে বলেন, আমার জানা নেই, আপনার কাছে শুনলাম, থানা যুবদলের নেতৃবৃন্দদের অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলবো। এ বিষয়ে জানতে মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

গাছা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ মুঠো ফোনে বলেন, একটি মিটিংয়ে আছি। অভিযোগ তদন্তপূর্বক আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com