তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে :
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরম্নদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। রোববার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা।
মামলায় সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক আমিনুর জামান রিংকু, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ওমর ফারম্নক রম্নবেল, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসত্মাক আহমেদ রঞ্জু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাহমিদুর রহমান সিজুসহ ৯৮ নেতাকর্মীর নাম উলেস্নখ ছাড়া আরও ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, “বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এখন নিয়ম তদনত্মকারী কর্মকর্তা তদনত্ম করবেন এবং সে অনুযায়ী আসামিদের গ্রেপ্তার করবেন।
উলেস্নখ্য,গত ১৭ জুলাই গাইবান্ধায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া, পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শহরের সার্কুলার রোডের জেলা বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এদিন আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়েও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় তিন মামলায় শিক্ষার্থী ও বিএনপি, জামায়াতের প্রায় শতাধিক নেতা কর্মীকে আটক করা হয়।