তিনি বলেন, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি দলের পাঁচজন ডুবুরি এখানে কাজ করছেন। তারা পানির নিচ থেকে দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আর একজন লঞ্চ যাত্রী সাঁতার কেটে ফিরে আসার পর মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, ১৫ থেকে ২০ জন নিখোঁজ থাকতে পারে। তবে নিখোঁজদের পক্ষে কেউ এখনো তালিকায় নাম লেখায়নি। সকালের মধ্যে পুরো নিখোঁজদের তালিকা হয়ে যাবে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার রাতে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে একটি টিম দুর্ঘটনাস্থলে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ডুবন্ত জাহাজ পানির ওপরে তোলা হলে তার ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। পানির নিচে উদ্ধার অভিযান আগামীকাল (সোমবার) পুনরায় শুরু হবে।
শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্ত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আ ন ম বজলুর রশীদকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লঞ্চ ডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম ব্যাপারীকে প্রধান করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এর আগে দুপুর ২টায় নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ এম এম আশরাফ উদ্দিন নামক লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে পেছন থেকে রূপসী-৯ নামে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
এই ঘটনায় এমভি রূপসী-৯ নামে পণ্যবাহী কার্গো জাহাজটিকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। এ সময় জাহাজে থাকা চালকসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।