নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র জুমার দিনে বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের সতর্কাবস্থান দেখা গেছে। সদ্য মৃত জামায়েত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দলটির নেতাকর্মীদের অবস্থান কিংবা যেকোনো সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর নয়াপল্টনের নাইটেঙ্গেল মোড়, পুরাতন পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট এবং দৈনিক বাংলা মোড়ে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)। পুরাতন পল্টন মোড়ে সাজানো রয়েছে প্রিজন ভ্যান, জলকামান ও পুলিশের সুরক্ষা সরঞ্জাম।
এদিকে গত ২৮ জুলাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশে মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল করিম হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
7 সংগঠনটির আহ্বায়ক ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, এ দেশের মানুষের আস্থাকে সরকারের ওপর নিশ্চিত করতে হলে দ্রুত রেজাউলের খুনিদের বিচার করতে হবে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ এ দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। চোর গুন্ডা ও দস্যুদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বিশ্বজিৎ ও মেধাবী আবরার ফাহাদকেও এই ছাত্রলীগের খুনিরাই হত্যা করেছে। আজকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করছি। এতে যদি আজ সরকারের কানে পানি না ঢোকে তাহলে কিভাবে পানি ঢোকাতে হয় সেটাও আমরা জানি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আলেমদের ওপর অবিচার করেছে। এ সরকার ইসলামবিদ্বেষী সরকার। অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেমকে মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই দেশের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হলে খুনিদের বের করতে হবে। এভাবে আইনের অপশাসন চলতে থাকলে মানুষের আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাবে।
এদিকে পুলিশের সতর্ক অবস্থান নিয়ে মতিঝিল জোনের এডিসি রওশন হক সৈকত বলেন, আমাদের কাছে নাশকতার কোনো তথ্য নেই। আশা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। তারপরেও আমাদের ফোর্স সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।