সোহেল রানা,চট্রগ্রাম:
কক্সবাজারের নিকটবর্তী নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভেসে আসা ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে ছয়জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে এসব মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়ার সামশুল আলম প্রকাশের মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার তারেকের মরদেহ গ্রহণ করেন বাবা জসিম উদ্দিন, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের সওকত উল্লাহর মরদেহ গ্রহণ করেন ভাই আয়াত উল্লাহ, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহজাহানের মরদেহ গ্রহণ করেন স্ত্রী হাফিজা বেগম, শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের গণি ওসমানের মরদেহ গ্রহণ করেন মা জহুরা বেগম ও একই ইউনিয়নের নুরুল কবিরের মরদেহ গ্রহণ করেন বাবা মোহাম্মদ হোসান।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, আমরা নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত করে হস্তান্তর করেছি। এ সময় দাফনসহ অন্যান্য খরচের জন্য প্রাথমিকভাবে ওই পরিবারগুলোকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, ছয়জনের মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করার পর যাচাই-বাছাই শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর চারজনের মরদেহ মর্গে রয়েছে। হস্তান্তর হওয়া এবং না হওয়া সব মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করার পর পরিচয় আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে। যে ছয়জনের মরদেহ হস্তান্তর হয়েছে, তাদের থানায় এজাহার জমা দিতে বলা হয়েছে। এজাহার পাওয়ার পর মামলা হবে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ট্রলারটির কিছু অংশ ডুবে ছিল। পরে অপর একটি ট্রলার বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রলারটিকে টেনে শনিবার সন্ধ্যায় নাজিরারটেকে নিয়ে আসে। ভাটার পর রোববার সকালে ট্রলারটির ভেতরে মানুষের হাত-পা দেখা যায়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু হয়। ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো অর্ধগলিত হওয়ায় কাউকে ভালোভাবে চেনা যায়নি। তবে অনেকের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।