কালীগঞ্জে মোবাইল কোটের আদেশে ৪ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত
কালীগঞ্জ(গাজীপুর) থেকে: আব্দুল গাফ্ফার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাভান আবাসন কোম্পানির একটি প্রকল্পে বালু ভরাট করছে। ওই অভিযোগে চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (২৪ জুন) রাতে নাগরী ইউনিয়নের পানজোড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ দণ্ডাদেশ দিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ইমাম রাজী টুলু।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, নাভান রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মী পার্বত্য রাঙামাটির কোতয়ালী থানার সুখমনি চাকমার ছেলে বিপুল চাকমা (২১), নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পুবাটি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৩), ভেকু চালক কালীগঞ্জের দক্ষিণ সোম এলাকার নুরুদ্দিনের ছেলে সজল (৩১) এবং স্থানীয় পানজোড়া এলাকার মোতালেব মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা (৩২)।
উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাগরী ইউনিয়নের পানজোড়া সুখ পাড়া এলাকায় নাগরী-পানজোড়া সড়ক ঘেঁষে প্রায় ৫০ বিঘার অধিক কৃষি জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে নাভান রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। ওই প্রাচীরের ভেতরে প্রায় ৫০ বিঘার অধিক এলাকা জুড়ে প্রতি ঘনফুট বালু ভরাটে ১৪ টাকা ৬০ পয়সা বরাদ্দে প্রথম দফায় প্রায় ৬ লাখ ঘনফুট আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮৮ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে আরো ১৮ লাখ ঘনফুট বালু ভরাটে অনুমানিক ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ খন্দকারকে।
যদিও ২০১৯ সালের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে নাগরী ইউনিয়নে নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিসহ সকল আবাসন কোম্পানির সকল ধরনের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশনা অমান্য করে এবং কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই সোহাগ খন্দকার ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বালু সংগ্রহ করে ভরাট কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো। সংবাদ পেয়ে সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ইমাম রাজী টুলুর নেতৃত্বে প্রকল্প এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে আটক করা হয়।পরে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাদের দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় রায়হান মোল্লাকে ২১ দিন, নাভানা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মী বিপুল চাকমা ও আনোয়ার হোসেনকে ৭ দিন এবং ভেকু চালক সজলকে ৩ দিন বিশ্রাম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।