৭ই মে রাতের প্রথম প্রহরে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুপার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন টঙ্গী ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন্থোনে থেকে আগত আওয়ামীলীগ,শ্রমিকলীগ,মহিলালীগ,যুবলীগ, স্বে”ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।
আজ শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তার পিতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার বাদী তার ছোট ভাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান মতি তার বড় ভাইয়ের হত্যা মামলার রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও অবিলম্বে তার বড় ভাই আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবী জানান।
গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা প্রয়াত আহসান উল্লাহ মাষ্টার ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের পূবাইল ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শাহ্ সুফী আলহাজ্ব আব্দুল কাদের, মাতা হাজী রুসতুমুনন্নেছা। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দুই বার চেয়ারম্যান,এরপর গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি গাজীপুরে সে সময় তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে এলাকায় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে শ্রমিক নেতা হিসেবে দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে গাজীপুরের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার তার নিজ বাসভবন টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম.এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন। ওই দিন ১০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছা সেবকলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালীন সময়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি।