কোম্পানীগঞ্জ ও ছাতকের সীমান্তবর্তী সোনাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে
কোম্পানীগঞ্জ এবং ছাতকের সীমান্তবর্তী সোনাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব প্রতিদিন চালাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। প্রতিদিন বিকেল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলে বালু উত্তোলন উৎসব। ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে সোনাই নদী প্রবাহিত হওয়ার সুবাধে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী চক্রের সাথে উভয় উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সখ্যতা রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যে কারনে বিনা বাধায় প্রতিদিন বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে এ চক্র। স্থানীয়দের দাবী প্রতিদিন অন্তত দু’ শতাধিক ট্রাক্টর ভর্তি করে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে লাখ-লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পাশাপাশি সোনাই নদীর উপর নির্মাধিণ এলাকাবাসীর স্বপ্নের ব্রীজ পড়েছে হুমকীর মুখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গাংপাড়-নোয়াকোট গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোনাই নদী। স্থানীয়রা এ নদীকে বাইরং নদী নামেও ডেকে থাকেন। এ নদীর উভয় পাড়ে রয়েছে জন বসতি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে কোমর বেধে নেমেছে বাইরং নদীতে। সরকারী কোন বৈধতা ছাড়াই লক্ষ-লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে এ চক্র। রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হওয়ার প্রত্যাশায় বালু উত্তোলনে তারা ব্যবহার করছে ফেলোডার। নদীতে ফেলোডার নামিয়ে বালূ উত্তোলন ও ট্রাক্টর লোডের মহাযজ্ঞে মেতে উঠেছে এ চক্র। প্রতিদিন বিকেল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত বাইরং নদীতে চলে বালু উত্তোলন কার্যক্রম। প্রভাবশালী হওয়ার কারনে সাধারন মানুষ এ চক্রের বিরুদ্ধে কোন ধরনের প্রতিবাদ করা বা বাধা দেয়ার সাহস পায় না। বিষয়টি মৌখিকভাবে থানা পুলিশ ও বিজিবিকে অবহিত করলেও কোন লাভ হয়নি বলে স্থানীয়রা জানান। এ দিকে রাইরং নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু ট্রাক্টর যোগে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে। বালু বিক্রির টাকা সাপ্তাহিক হারে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে চক্রে জড়িতরা। প্রশাসনের নামেও ভাগ-বাটোয়ারার একটি অংশ স্থানীয় এক দালালকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে বালূ উত্তোলনের উৎসব চলতে থাকলে সোনাই নদীর উপর নির্মাধিন ব্রীজ মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়তে পারে। এ ছাড়া নদীর উভয় পাড়ের বসত-ভিটা নদী ভাংগনের কবলে পড়ার আশংকাও রয়েছে। এখনই অবৈধ বালু উত্তোলনকারী চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিলে রাজস্ব ক্ষতির পাশপাশি নির্মানাধীন ব্রীজ ও স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছেন বলে স্থানীয়রা জানান।