সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সমস্ত রাষ্ট্র প্রশাসনে নিজেদের লোক বসিয়ে, লুটপাটের ভাগ বাটোয়ারা দিয়ে,পকেটে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে মনে করেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবেন।
আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন । পুলিশের আর র্যাবের প্রহরায় গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় পাহারা দেন। খুব বীরত্ব! আওয়ামী লীগ জানে আন্দোলন কীভাবে করতে হয় আন্দোলন কীভাবে ঠেকাতে হয়, না ? পুলিশ ছাড়া আসেন না, রাস্তায় কয় মিনিট টেকেন বাংলাদেশের মানুষ দেখবে। সমস্ত রাষ্ট্র প্রশাসনে নিজেদের লোক বসিয়ে লুট পাটের ভাগ বাটোয়ারা দিয়ে পকেটে রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ে মনে করেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবেন। আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।
আপনারা যদি টিকতে পারেন ইতিহাস মিথ্যা হয়ে যাবে। আজ হোক কাল হোক আপনাদের ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। কী করতে চায় সরকার আর কী করছে সেটা জনগণকে বুঝতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করল যাতে সমস্ত পুলিশ সদস্যকে জনগণের বিরুদ্ধে এবং বিরোধীদের দমনে কাজে লাগানো যায়। সাংবাদিকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হলো,যাতে পুরো সাংবাদিক সমাজকে বিরোধী দলের আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো যায়।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকারের এমন দমন-নিপীড়নের পরও দেশবাসী হরতাল ও অবরোধ সফল করছে। তার জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আওয়ামী লীগ তাদের পার্টি অফিসে পাহারা বসানোর লোক খুঁজে পাঁচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, গতকাল (গত রোববার) গণমাধ্যমে দেখলাম গত ১৫ বছরে হাজার-হাজার কোটি টাকা লুট করেছে, সম্পদ গড়েছে সেটা রক্ষার জন্য ব্যস্ত আছে। তারা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস রক্ষার জন্য লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সে পার্টি অফিস রক্ষার জন্য তেমন লোকজন পাঁচ্ছে না।
সাইফুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে জেলায় জেলায় শান্তি সমাবেশ শান্তি কমিটি গঠন করেছিল ঠিক সেইভাবে বর্তমান অবৈধ সরকার, ভোট ডাকাতের সরকার শান্তি সমাবেশ করছে এবং শান্তি কমিটি গঠন করছে নিজেদের রক্ষা করার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানিরা শান্তি কমিটি করে নিজেদের শেষ রক্ষা করতে পারেনি। এ সরকার ও শান্তি সমাবেশ করে শান্তি কমিটি করে কোনোভাবে তাদের অবৈধ গদি রক্ষা করতে পারবে না। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য আকবর খান।