আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো.আব্দুস সোবহান বলেন, আপনারা জানেন আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। আমার ব্যবসা-বাণিজ্যকে ধ্বংস করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রাণী করা হচ্ছে।
আমরা বিগত ২০০৫ ইং সালে ট্যাম্পে লিখিতভাবে উল্লেখিত মোঃ নুরুল হকের (৬০), পিতা- মৃত আফছার উদ্দিন, সাং- আউটপাড়া, ওয়ার্ড নং ১৬, থানা- বাসন, গাজীপুর এর নিকট থেকে গাজীপুর জেলার তৎকালীন জয়দেবপুর থানাধীন বর্তমানে জিএমপি বাসন থানাধীন আউটপাড়া মৌজাস্থিত চান্দনা চৌরাস্তা হক মার্কেটের সি.এস ও এস.এ ১৩৭, ১৩৮ এবং আর. এস ১৫৫ ও ১৫৬ নং দাগের কাতে ৭২.৫০ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে এবং মার্কেট সংস্কার করে বৈধভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আসামী মোঃ নুরুল হক বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য। উল্লেখিত আসামীর বিরুদ্ধে গাড়ী ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা আছে। সে অর্থজারী মোকদ্দমা নং ১২৯৯/১৯ এর রায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আমরা ভাড়া নেওয়া উক্ত জমিতে বৈধভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাকালে গত ১০/০৩/২০১৬ ইং তারিখ আসামী মোঃ নুরুল হক ষ্ট্যাম্পে লিখিতভাবে উল্লেখিত ৭২.৫০ শতাংশ জমিসহ জমিতে নির্মিত মার্কেটের সর্বময় ক্ষমতা তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ শাহানাজ পারভীন এর নামে লিখে দেয়। আমাদের ৫০৭ জন সদস্য নিয়ে গঠিত গাজীপুর কাঁচামাল আড়ৎদার মালিক গ্রুপের সভাপতি হিসাবে আমি উক্ত আসামী মোঃ নুরুল হক কর্তৃক ষ্ট্যাম্পে লিখিতভাবে ক্ষমতাপত্র দলিলমূলে লিখে দেওয়া বর্তমান মালিক মোসাঃ শাহানাজ পারভীন এর সাথে কথাবার্তা বলে ইতিপূর্বে জমিতে মাটি ভরাটসহ জমিতে নির্মিত সকল প্রকার স্থাপনার নির্মাণ খরচ ২,৮৮,৫০,০০০/= টাকা নির্ধারণ করি। অতঃপর গত ০১/০৪/২০১৬ ইং তারিখ উপস্থিত স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় উক্ত শাহানাজ পারভীন আমার নিকট থেকে নগদ আরও ৫০,০০,০০০/= টাকা গ্রহণ পূর্বক ইতিপূর্বে আমাদের বিনিয়োগকৃত ২,৮৮,৫০,০০০/= টাকার সাথে উহা যুক্ত করে সর্বমোট ৩,৩৮,৫০,০০০/= (তিন কোটি আটত্রিশ লক্ষ) টাকা জামানত হিসাবে গ্রহণ দেখিয়ে ভাড়ার টাকা বৃদ্ধি করে মাসিক ভাড়া ১,২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করে ষ্ট্যাম্পে লিখিতভাবে ১০ (দশ) বৎসরের জন্য আমার কাছে মার্কেট ভাড়া দেন।
পরবর্তীতে মার্কেটের বর্তমান মালিক শাহানাজ পারভীন ভাড়ার টাকা আরো ৩০,০০০/= (ত্রিশ হাজার) টাকা বৃদ্ধি করে মাসিক ভাড়া ১,৫০,০০০/= (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করেন। আমি নিয়মিত উক্ত শাহানাজ পারভীনকে ভাড়া পরিশোধপূর্বক যথারীতি মার্কেটে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। এই পর্যায়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ আসামী মোঃ নুরুল হক তার সহযোগী উল্লেখিত আসামী মোঃ সাইদুর রহমান ও তারিফ মাহমুদসহ আরও চারজন। অজ্ঞাতনামা আসামীসহ আমাদেরকে অন্যায়ভাবে বর্ণিত মার্কেট থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমি নিরূপায় হয়ে উক্ত আসামী মোঃ নুরুল হকের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, গাজীপুরে বাড়ী ভাড়া মোকদ্দমা নং ০১/২০১৫ এবং পরবর্তীতে উক্ত আসামী নুরুল হকের নিযুক্ত আমমোক্তার মোসাঃ শাহানাজ পারভীন এর নামে একই আদালতে বাড়ী ভাড়া মোকদ্দমা নং ১৩/২০২১ দায়ের করি। যাহা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। ইহার পরেও আসামী মোঃ নুরুল হক তার সহযোগীদের নিয়ে আমাদেরকে মার্কেট থেকে উচ্ছেদ করার জন্য মিথ্যা ও ভীত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, গাজীপুরে সি.আর মামলা নং ৬২৭ / ২০২২ (বাসন), তাং ২২/05/2012 ইং, ধারাঃ ১৪৩/৪৪7/304/023/385 / 427/506 পেনাল কোড দায়েরের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে মিথ্যা ও ভীত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে আমাদেরকে হয়রাণীসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বাধা প্রদানপূর্বক আর্থিক ক্ষতি করতে থাকে।
বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে উল্লেখিত সি. আর মামলাটি পিবিআই, গাজীপুর কর্তৃক তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। উক্ত আসামী মোঃ নুরুল হক কর্তৃক ইতিপূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগের বিষয়ে বাসন থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ার বিষয়ে গত ২৪/০৯/২০২২ ইং তারিখ স্বারক নং ৫৭৮৯ মোতাবেক পুলিশ কমিশনার বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ইহা ছাড়াও উক্ত আসামী মোঃ নুরুল কর্তৃক আমাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগের কোন সত্যতা প্রমানিত হয় নাই। যাহার কপি অত্র সাথে সংযুক্ত করা হলো। আসামী নুরুল হক, মোঃ সাইদুর রহমান ও তারিফ মাহমুদ তাদের সহযোগী ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামীসহ অন্যায়ভাবে মার্কেট দখল করার জন্য আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে প্রায় সময়ই মার্কেটের আশ পাশে মহড়া দেওয়ায় আমরা স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায়া প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সোবহান বলেন, মোঃ নুরুল হক (৬০), পিতা- মৃত আফছার উদ্দিন, সাং- আউটপাড়া, ওয়ার্ড নং ১৬, থানা- বাসন, গাজীপুর, মোঃ সাইদুর রহমান (৩৫), পিতা- মোঃ নুর হোসেন, সাং- চর মাদার, থানা- দেওয়ানগঞ্জ, জেলা- জামালপুর, বর্তমানে আউটপাড়া, থানা- বাসন, গাজীপুর, তারিফ মাহমুদ (৩২), পিতা- মৃত নাছির উদ্দিন নাসু, সাং- আউটপাড়া, থানা- সদর এলাকার বাসিন্দা গন্দের বিরুদ্ধে থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি মামলা করেছি। থানা পুলিশ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিকবার তদন্ত করেছে । তারা যেকোনো সময় আমাকেও আমার নিরীহ ব্যবসায়ী ভাইদের কে খুন জখম সহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধ্য করতে পারে বলে আমি শঙ্কিত। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।