আলমগীর কবীরমঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০, রাত ৩:৩৮ সময়0143
খবরের সময়
আলমগীর কবীর
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানাধীন ছয়দানা মালেকের বাড়ী এলাকার সবদুল হাসান এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া সুলতান মাহমুদ ( ২৫) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। যুবকের গ্রামের বাড়ী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানাধীন হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের আফছার আলীর ছেলে। মেঘনা গ্রুপের, সহযোগী প্রতিষ্ঠান ফ্রেশ কোম্পানির এক সেলস্ রিপ্রেজেন্টেটিভ এস আর লুৎফর রহমান জানান, সুলতান মাহমুদ (২৫) অত্যান্ত ভাল, ভদ্র ছেলে, সে এবং আমি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে আসছি। সে গাজীপুরা এলাকায় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করত। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে সে এই কোম্পানীতে যোগদান করেছিল এবং সুনামের সহিত কাজ করে আসছিল। গত দু- আড়াই মাস আগে সে বিবাহ করেন। গত কয়েকদিন যাবৎ সুলতানের মনমানসিকতা খুব ভাল ছিল না, তাকে দেখে বুঝা যেত। গত ২২ মার্চ ২০২০ ইং রাত আনুমানিক ৯.৩০ ঘটিকার দিকে সুলতানের নব্য বিবাহিতা স্ত্রী তার অফিস ছুটি শেষে বাসায় এসে দেখতে পায় ঘরের ভিতর থেকে লক করা, কয়েকবার ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেয়ে আশপাশের ভাড়াটিয়াদের ডাকলে কয়েকজন এসে দরজা্র ছিটকিনি খুলে দেখতে পান সুলতান মাহমুদের বডি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
এমতবস্থায় গাছা থানা পুলিশকে জানালে, ডিউটিরত পুলিশ মিঃ উদায়ন বড়ুয়া বিকাশ উপপুলিশ পরিদর্শক, গাছা থানা ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুলতান মাহমুদের বডি মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার ও সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে লাশ থানায় নিয়ে আসেন। লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরী করতে গিয়ে সুলতানের ব্যবহৃত একটি ডায়রী পায় পুলিশ। সেই ডায়রীতে তারিখ সহ তার মৃত্যুর রহস্য লিখে যান। ডায়রীতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তারিখ ২২/৩/২০২০ইং সজল স্যার, ৬০% বি এস এম, আজাদ স্যার আর এম ৩০% এবং রাকিব ভাই আরএস ১০ % আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। সুলতান লেখেন আমি চুরি করিনি, আমি চোর নই, আমাকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন আমার অফিসের স্যারেরা যা আমি সহ্য করতে পারছি না। আমার জীবনে চুরির কোন অপবাদ নেই।। সুলতান আরও লেখেন তার নাম ঠিকানা চুরির অপবাদ, অপমান অপদস্ত, সহ্য করতে না পেরে আমি এই জীবন শেষ করে দিচ্ছি । সুলতানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বড় ভাই সাজিদুল ইসলাম গাছা থানায় এসে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সুলতানের আত্মাহত্যার বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এদিকে ২৩/০৩/২০২০ইং তারিখে সকাল ১১.৩০ ঘটিকার দিকে সুলতানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীনমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।সুলতানের বড়ভাই সাজিদুল ইসলাম ,বাদী হয়ে, তার ভাইকে আত্মাহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ এনে ১/ সজল বি এস এম ২/ আজাদ আর এম, এবং ৩/ রাকিব এস আর কে বিবাদী করে নিয়মিত মামলা করেন। মামলার বিষয়ে, ইসমাইল হোসেন, অফিসার ইনচার্জ গাছা থানা বলেন, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে মামলা হবে এবং আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে। জি এম পি, গাছা থানায় মামলা হয়েছে নিশ্চিত করেন মিঃ উদায়ন বড়ুয়া বিকাশ উপপুলিশ পরিদর্শক, গাছা থানা । গাছা থানার নিয়মিত মামলা নং ৪০ তারিখ ২৩/০৩/২০২০