ঈদযাত্রায় এবারও ভোগান্তির শঙ্কা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে
আলমগীর কবীর:
এবারও ঈদযাত্রায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে । ধীরগতির চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে দু'পাশের সরু রাস্তায় স্বাভাবিক সময়েও গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। এছাড়াও অযান্ত্রিক বাহন স্বল্প গতির অটোরিকশা,যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা,অস্থায়ী বাজারসহ নানা বিপত্তির কারণে এ আশংকা।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তায় স্বাভাবিক সময়েও থেমে থেমে যানজট লেগেই থাকে । কখনো কখনো এই জট থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। গাজীপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট-বিআরটি প্রকল্পের কারণে গত এক দশক ধরেই দুর্ভোগ এই রুট ব্যবহারকারীদের। তবে কয়েকদিন হলো যানজট কিছুটা কমেছে।
এই রুটে দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার গড়ি চলাচল করে। ঈদের সময় যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এ বাড়তি পরিবহন অতিরিক্ত চাপ তৈরি করবে সড়কের ওপর। কিন্তু সড়ক কতটা প্রস্তুত? বিআরটির কাজ চলার কারণে দুই পাশের রাস্তায় সরু হয়ে পড়েছে। তাও আবার লেনের পুরোটা ব্যবহার করতে পারছে না গাড়িগুলো। একই রাস্তায় চলছে দুরপাল্লার বাস,আন্ত:নগর গণপরিবহন,পণ্যবাহী ভারি ও হালকা পণ্যবাহী পরিবহণ।
এছাড়া অটোরিকশা, অস্থায়ী বাজার এবং যেখানে সেখানে পথচারী পারাপার এই সড়কের বিশৃঙ্খলা বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুনে। যেখানে সেখানে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠা নামা বন্ধ করতে না পারলেও হতে পারে যানজটের মুল কারণ।
যদিও ঈদের আগে এগুলো নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ। ঈদ যাত্রা যে সহজ হবে না,তা স্বীকার করলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি( ট্রাফিক) আবদুল্লাহ আল মামুন।। ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে বিআরটি কর্তৃপক্ষ,সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন বলে জানান তিনি।
প্রায় ২০ লাখ পোশাক শ্রমিক রয়েছেন গাজীপুরে। পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতি পুলিশের প্রস্তাব সকল শ্রমিককে একদিনে ছুটি না দিয়ে ভিন্নভিন্ন দিনে আগে পরে ছুটি দিতে হবে। এতে করে ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা হলেও কমবে ।