এস এম বাদল কুষ্টিয়া থেকেবৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, রাত ১১:৩ সময়057
ছবি,সোহেল রানা
এস এম বাদল কুষ্টিয়া থেকে : মিথ্যা বানোয়াট ভাবে ৩০২-ধারা হত্যা মামলা করে মোঃ সোহেল রানা (৩৫) পিতাঃ মৃত মোসারেফ সাং-কাকিলাদহ, মিরপুর কুষ্টিয়া কে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন সোহেল রানা ও নএলাকাবাসী । গত ৬/০৩/ ২০২২ ইং তারিখে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় মামলা নাম্বার জি আর ৫৫/২২। মামলাটিতে পক্ষ পাতিত্ব করে সোহেল রানা কে আসামি করে মামলা নেওয়া হয় বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসী। সোহেল রানার দাবী সে গত ৮ বছরের পূর্বে মোছাঃ মিনারা খাতুন কে বিয়ে করে তখন মিনারা খাতুনের একটা কন্যা সন্তান ছিল। ওই কন্যার নাম ছিল নাজনীন নাহার মিম,১৫ বছর আগে গোবিন্দপুর বিপুল নামে একজনের সাথে বিয়ে হয়,সেই ঘরে নাজনীন নাহার মিম নামে কন্যা সন্তান হয়।
বিভিন্ন সাংসারিক সমস্যা কারনে বিপুলকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করে মিনারা খাতুন (মিমের মা) তারপর আমাদের সাংসারিক জীবন ৮ বছর হয়ে গেছে, আমাদের ঘরে একটা ছেলে সন্তান আছে, হটাৎ একদিন শুনি আমার স্ত্রী আগের পক্ষে মেয়ে মিমের বাল্যবিবাহ দিয়েছে তার বাবা বিপুল কলাবাড়ি নামক একটি গ্রামে ,তার কিছু দিন পর মিম নাকি সংসার ছেড়ে একছেলে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়,এই খবর শোনার পর আমার স্ত্রী কান্নাকাটি করে,, বিভিন্ন ভাবে মিমের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করে ।
কিন্তু যোগাযোগ করতে ব্যার্থ হয় ,২/৩ পর মিম তার মায়ের সাথে কথা বলে এবং সে ঢাকাতে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ছিল বলে জানান মিমের মা মিনারা খাতুন কে,ঢাকা থেকে চলে আসতে চায় কিন্তু আসতে পারে না,মিম তার বাবা বিপুল কে ঢাকা থেকে নিয়ে আসার কথা বললেও তাকে আনার চেষ্টা করে না,অসহায় মিম তার মায়ের কাছে কান্নাকাটি করে এবং আমাকে ঢাকা থেকে আনতে বলে,মিমের মতামতের উপর আমি পুলিশ এবং স্হানীয় সহায়তায় ঢাকায় গেলাম তারপর মিম কে নিয়ে আসলাম,তার পর থেকে মিম এর বাবার সাথে সমস্ত যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয় মিম,মিম কে আর তার বাবা বিপুল গ্রহণ করে না,সেখান থেকে মিম সংসার করে না,তারপর থেকে মিম এর সমস্ত দায়িত্ব আমার উপর পড়ে এবং আমার মেয়ের মত করে তাকে আবার স্কুলে ভর্তি করি,লেখাপড়া করায়, কোচিং করায় বাবা হিসেবে মিম জন্য সব কিছু করি,আমাদের সংসারের কোন ঝামেলা ছিল না,মিম স্বাভাবিক ভাবে লেখা পড়া করতে থাকে ।
গত ১৫/০১/২০২২ তারিখে মিম কে মিরপুর থেকে টিকা দিয়ে বাড়িতে পোঁছালাম ১/৩০ মিনিটে তারপর আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাকিলাদহ বাজারে চলে যায়, তারপর শুনি মিম তার শয়ন কক্ষে আনুমানিক ৪ টা ৩০মিনিটে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে,তখন তার মা বাড়িতে সাংসারিক কাজ করতে ছিল ,তার মা মিম মিম বলে ডাকলে মিম সাড়া দেয় না তখন তার মা তার শোয়ার ঘরে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে তার মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে,তখন ঘরের জানালা ও দরজা বন্ধ ছিল । তার মায়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির পাশে লোকজনের উপস্থিতিতে জানালা ভেঙ্গে মিম কে বাঁচানোর চেষ্টা করে,এই সংবাদ শোনার সাথে সাথে আমি বাড়িতে আসি এবং দ্রুত প্রাইভেট যোগে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করে ।এর মধ্যে মিমের বাবা বিপুলকে বিষয় টা অবগত করা হয়েছিল,তারপর পুলিশ এসে প্রাথমিক তদন্ত করে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মিম এর শরিলে কোন প্রকার আঘাত এর চিহ্ন না পাওয়ায় ও চিকিৎসক এর প্রাথমিক তথ্যমতে এবং পুলিশ এর মতে আত্মহত্যা বলে মিম এর মা মিনারা খাতুন অপমৃত্যু মামলা করে মিরপুর থানায়,কিন্তু মিম এর বাবা বিপুল মন্ডল পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলা করতে যায় আমাদের নামে ।
কিন্তু মিরপুর থানা আমলে নেয়নি তখন প্রতিশোধের নেশায় মিম এর লাশের পোস্টমোটাম করায় এবং বাদি হয়ে মামলা করে মিমের বাবা বিপুল । বাদি বিপুল মন্ডল জানতো তার মেয়ে মিম'র মানসিক সমস্যা ছিল এর আগেও আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। সোহেল রানা ও এলাকাবাসীর দাবী প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত যে মিমের আত্মহত্যা কিন্তু পরবর্তীতে এটি কিসের বিনিময়ে হত্যা মামলায় সংগঠিত হলো? ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবী ডাক্তার ইকবাল হাসান'র সাথে মামলার বাদী বিপুলের সম্পর্ক থাকায় টাকার বিনিময়ে রিপোর্ট জালিয়াতি করে সোহেল রানাকে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করে করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ,এই ভুল রিপোর্ট উপর মামলা টি রুজু হয় মিরপুর থানায় ,ভুক্তভোগী বলেন ডাক্তার ইকবাল হাসান ঢাকার রিপোর্ট না নিয়ে তার ইচ্ছেমত মতমত প্রদান করে যার কারনে ভুক্তভোগী কে থাকতে হয় কারাগারে,তারপর মামলা টি তদন্তের দায়িত্ব পান মিরপুর থানার এস আই আবু সাঈদ, আবু সাঈদ তদন্তের জানতে পারে এটা আত্মহত্যা কিন্তু ডাক্তার রিপোর্টের উপর মালমাটি চলমান থাকে,ডাক্তার জখন আলামতের রিপোর্ট না নিয়ে নিজের মতামত দেন। ভুক্তভোগী সোহেল নিদোর্শ বলে মালমার তদন্ত কমকর্তা কে,,ঢাকা থেকে আলামতের রিপোর্ট নিতে বলে কিন্তু সে আমলে নেয় না,কিন্তু কেন নেয় না ভুক্তভোগীর প্রশ্ন? এস আই আবু সাইদ এই মামলায় অভিযুক্ত করে চাজশিট দেয়,এমনকি নাজমীন নাহার মিম আত্মহত্যা আগে সুইসাইড নোট লিখে যায়,, কাউকে সে দোষারোপ করেনি,সেই সুইসাইড নোট তদন্ত কমকর্তা মূল চাজশিটে সংযুক্ত না করে পাঠিয়ে দেয়, এলাকাবাসীর দাবী যে মীম যখন আত্মহত্যা করে তখন ভুক্তভোগী সোহেল বাসায় ছিল না এবং তার মা নিজে গিয়ে দরজা জানালা বন্ধ পায়, এলাকাবাসীর সাহায্যে জানালা ভেঙ্গে মীম কে বের করে দ্রুত মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলো তখন মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাক্তার মীম কে মৃত ঘোষনা করে,সোহেল রানা কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফাঁসানো হচ্ছে বলে মনে করেন তারা এবং এই মামলাটি পুনরায় তদন্তের দাবী জানান এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবীকৃত তথ্য নিশ্চিত হওয়ার জন্য মামলাটির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই আবু সাঈদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা পারিপার্শ্বিকতা ও ডাক্তারের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলাটির চার্জশিট দেওয়া হয়, এব্যাপারে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে তার সাথে কোন রকম যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা একটি বোর্ড গঠনের মাধ্যেমে লাশের পোস্টমোটাম রিপোর্ট দিয়েছি, যেমনটা পেয়েছি তেমনটাই দিয়েছি।ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবী এই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এটি যে হত্যা বলা হচ্ছে তাহলে আর। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঢাকাতে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য পাঠানো হলো না কেন ? ভুক্তভোগী সোহেল কে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।