সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধার জমি ক্রয় করে বিপাকে কছির উদ্দিন
মোস্তফা মিয়া পীরগন্জ (রংপুর)থেকে:
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পাশ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি ক্রয় করে বিপাকে পড়েছেন জমি ক্রেতা জনৈক কছির উদ্দিন । তাই তিনি এর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও এখন আশানুরুপ ফল পাননি । অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছেন কছির উদ্দিন ।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সনে মহান স্বাধূনতা যুদ্ধে মিঠাপুকুর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের শ্রী কৈলাশ চন্দ্রের পিতা উমাকান্ত বর্মন ও কামা শ্রী রুহিনী কান্ত বর্মন শহীদ হন । মৃত্যুও পুর্বে তাহারা তাহাদের পৈত্রিক মালিকানাধীন ০৫ খতিয়ান ভুক্ত ৫টি দাগের বাস্ত ভিটা সহ মোট জমি ৪ একর ৫০ শতাংশ জমি কেশবপুর গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র কছির উদ্দিনের নিকট দলীল মুলে হস্তান্তর করেন ।
অথচ একই গ্রামের প্রভাবশালী আঃ জব্বার মিয়ার পুত্র আঃ খালেক গং উল্লেখিত জমি দীর্ঘ দিন ধরে ভুয়া দলীল মুলে ভোগদখল করে আসছেন । কছির উদ্দিনের দাবী অনুযায়ী তিনি প্রকৃত ক্রেতা হিসাবে দলীল মুলে উক্ত জমি তার দাবী করার কারনে জব্বার গং কছির উদ্দিনকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মুলক মামলায় ফাসিয়ে হয়রাণী করে আসছেন । যদিও একাধিক মামলা থেকে কছিন উদ্দিন অব্যহতি পেয়েছেন ।
এ সব মামলায় কছির উদ্দিনকে দুর্বল করতে না পেরে জব্বার গং উমাকান্ত বর্মন ও রুহিনী কান্ত বর্মনকে জমি দাতা দেখিয়ে কেশবপুর মৌজার ৩২৭০, ১৫৪৭৩ ও ৩৫২৭১ নম্বর সহ পৃথক ৬টি ভুয়া দলীল তৈরী করে জোড় পুর্বক কছির উদ্দিনের ক্রয়কৃত জমি ভোগ দখল করে আসছেন।
তাই কছির উদ্দিন এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন । অথচ আজও কোন প্রতিকার পাননি ।