গাজীপুরে জেলা প্রশাসকের গাড়ী চালককের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের হাতাহাতি ঘটনা
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) গাড়িচালক হিরা মিয়াকে মারধরের অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে করা হয়েছে। রবিবার ১১এপ্রিল ২০২২ইং বিকেলে ওই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়। যাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন,গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ এবং ইউসুফ আলী। একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মোড়ে ডিসির গাড়ি থামানোকে কেন্দ্র করে চালকের সঙ্গে দুই কনস্টেবলের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,গাড়িচালক হিরা মিয়া জেলা প্রশাসকের দুই শিশুসন্তানকে স্কুল থেকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের স্টিকারযুক্ত গাড়িযোগে বাসায় ফিরছিলেন। গাড়িটি রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মোড়ে এলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে বলেন।
এ সময় হিরা মিয়া ট্রাফিক পুলিশকে জানান গাড়িতে জেলা প্রশাসকের দুই শিশুসন্তান রয়েছে। এ নিয়ে উচ্চবাচ্য শুরু হয়। তখন ডিসির গাড়িতে ট্রাফিক পুলিশ লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হিরা মিয়া প্রতিবাদ জানান। একপর্যায়ে চালককে মারধর করে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ এবং ইউসুফ আলী। পরে চালক অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে ডিসির বাসভবনে চলে যান।
এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা মিছিল সহকারে রাজবাড়ি সড়ক আধাঘণ্টা অবরোধ করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে কার্যালয়ে নিয়ে যান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের গাড়িচালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যের একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। ইতোমধ্যে ওই দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।