অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে কুমিল্লার দাউদকান্দির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীনুর আলমকে ওএসডি করা হয়। ওএসডি হওয়ার পর শাহীনুর সেখানে যোগদানকৃত নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়েই নতুন এসি, মেঝের কার্পেট ও গাড়ির বাম্পার নিয়ে চলে গেছেন।
এদিকে,ওএসডি হওয়া মোহাম্মদ শাহীনূর আলমের স্থলে রবিবার (২ এপ্রিল) সকালে নতুন দায়িত্ব নিলেন ২৫তম বিসিএসের (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।নতুন যোগ দেওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান“গাড়ির বাম্পার, নতুন এসি ও মেঝের কার্পেট খুলে নেওয়ার বিষয়টি আমি একাধিক সূত্রে জানতে পেরেছি।এর আগে পল্লী চিকিৎসকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে (ভাইরাল) পড়ার পর গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শাহীনূর আলমকে ওএসডি করে।
ভুক্তভোগী অনেকে জানান ডা. শাহীনুর আলম সুমন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার সাথে জড়িয়ে পড়েন । তিনি রোগীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে কমিশন বানিজ্য, চিকিৎসা পত্রে নির্দিষ্ট ওষুধ লিখতে বাধ্য করা,পল্লী চিকিৎসকদের চেম্বার পরিদর্শনের নামে হয়রানি,হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগের অধিকাংশ পরীক্ষা তার নির্দেশিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করাতেন।এ ছাড়া অভিযোগ ওঠে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠে দাঁড়িয়ে ফুচকা বিক্রেতা অরুণ দেবনাথের কাছ থেকেও মাসিক তিন হাজার টাকা আদায় করতেন তিনি।
আরও জানা যায়, এর আগে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার থাকাকালে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ডা. শাহীনুর আলম সুমনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছিল।
দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন কর্মচারী জানান, যাওয়ার সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন গাড়ির বাম্পার, নতুন এসি ও মেঝের কার্পেট তার নিজস্ব উপহার পাওয়া সম্পদ।