তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে:
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় নিজ স্ত্রীকে ফেরত পেতে শশুর বাড়ির পরিবারের উপর স্বামীর আদালতে মামলা' জানা যায় নিজ স্ত্রীকে ফেরত পেতে গাইবান্ধা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালত ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন মাসুদ করিম।
এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা-ভাইয়ের কথা শুনে চক্রান্ত করে মিনারা আকতার মিম ১১/৪/২৫ তারিখে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় । যার পুলিশ কেস লেখা প্রিসক্রিপশন রেজিস্টার ২৬৮১২,মহিলা ওয়ার্ড বেড নং-৩ ভর্তি হওয়ার একদিন পরেই তাকে রিলিজ দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এরপর থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামী মাসুদ করিমকে কারাগারে পাঠালেন নিজ স্ত্রী মিনারা আকতার মিম,এমন অভিযোগ মাসুদের পরিবারের।
এদিকে ফায়দা লুটতে স্ত্রীর পরিবারের চাপে নাটক সাজিয়ে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা দেয় বলে দাবী মাসুদ করিমের পরিবারের। অন্যদিকে স্ত্রী মিনারা আকতার মিম স্বামীসহ ৫ জনকে আসামি করে ১৬/৪/২৫ ইং তারিখে সাঘাটা থানা একটি মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়,যার মামলা নং-১৩ সেই মামলায় পুলিশ মাসুদ করিমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালতে ৫ জনের জামিন আবেদন করলে ৪ জনের জামিন মঞ্জুর করে। মাসুদ করিমের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
জানা যায়,সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের মোঃ আবু হাসেম ব্যাপারীর পুত্র মোঃ মাছুদ করিম ও ঢাকা জেলার বাড্ডা থানাধীন পূর্বপাড়া বাসার মোঃ আব্দুল মান্নান মেয়ে মিনারা আকতার (মিম) দীর্ঘ দিনের ভালোবাসার সম্পর্ক থাকার সুবাদে। বিষয়টি পরে পারিবারিক ভাবে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে ২১/৩/২২ ইং তারিখে নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার কাজীর নিকট ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে তারা আবদ্ধ হয়। সংসার জীবন ভালোই কাটছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় আত্মীয়তার সুবাদে স্ত্রীর ভাই আলী হোসেন চলতি বছরে ৬/৩/২৫ ইং তারিখে ব্যবসা বাবদ ১০ লক্ষ টাকা কর্জ হিসেবে নন জুডিশিয়াল স্টাম্প স্বাক্ষর করে নেন বলে অভিযোগ মাসুদ করিমের।
মাসুদ করিমের সাথে দীর্ঘ ২ বছর সংসার করার পর স্ত্রীর ভাই ও বাবা-মা কুপরামর্শে বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে আসবে মর্মে আর আসতে চায়না। পরে স্ত্রী বলে টাকা নিয়ে অশান্তি করো কেন ? আমি আর যাবোনা।
মাসুদ করিম পরিবারের অভিযোগ,শশুর বাড়ির লোকজনের কুপরামর্শে স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে গেলে তাকে আর আসতে দেয়না। কারণ আমার ছেলের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে তারা।ছেলে খুব দুশ্চিন্তায় থাকে এরপরও আমরা ছেলের বউকে নিয়ে আসি।
কয়েকদিন পর হঠাৎ আলী হোসেন সাঘাটা এসে স্ত্রী মিনারা আকতার মিমকে ঝগড়া করে নিয়ে যায়। দুই-তিনদিন পর স্বামী মাসুদ করিম স্ত্রী মিনারা আকতার মিমকে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আটক করে রাখে তার পরিবার । এদিকে স্ত্রী বাবার বাড়ি থেকে ফেরত না আসায় স্বামী মাসুদ করিম গেলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফেরত পাঠায়।
মাসুদ করিম বলেন,আমি আমার স্ত্রীর ফোনে যোগাযোগ করলে স্ত্রী ফোন রিসিভ না করে শ্বশুর আবদুল মান্নান ও তার ছেলে আলী হোসেন ফোন রিসিভ করেন এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন,আমার মেয়ে ও আমার বোন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বা তার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করলে তোকে দেখে নিবো বলে হুমকি দেন ।
পরে নিরুপায় হয়ে গত ১৪/০৪/২০২৫ ইং তারিখে তার স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য মাসুুূদ করিম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট-২ আদালত গাইবান্ধায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন-আব্দুল মান্নান(৬০) আলী হোসেন(২৭) বিপ্লব মিয়া (৩২) তপন শরীফ (৪১) ও বেলা রানী (৫৫) ।
এবিষয়ে বিবাদী মিনারা আকতার মিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।