খবরের সময় ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশে এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেছেন ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিজেদের প্রযুক্তি নিজেদের তৈরি করতে হবে।দেশের বাইরে থেকে নয় বরং নিজেদের প্রযুক্তি নিজেরাই তৈরি করার সক্ষমতা অর্জনে এই বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করে যাচ্ছে।
মাননীয় উপাচার্য ০২ মার্চ,২০২৩ (বৃহস্পতিবার)বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট ২০২২-এর চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন,যেকোনো ধরনের যন্ত্র কিংবা সফটওয়্যার আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করতে চাই না,আমরা চাই বাংলাদেশেই তৈরি হবে সকল ধরনের যন্ত্র এবং এই দেশ থেকেই আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিবো।বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই পথ দেখিয়েছেন যে কিভাবে পরিবর্তন করতে হয়।
প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাননীয় উপাচার্য বলেন, তোমরা যারা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এখানে এসেছ তোমরাদের সবসময় চিন্তা করতে হবে যে তোমরাই পারবে সেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে। তোমরা যদি হাল ছেড়ে দাও তাহলে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। আর তোমরা যদি তোমাদের সঠিক পথটি দেখে নিয়ে সমনে এগিয়ে যেতে পারো তাহলেই বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।
এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট ২০২২ প্রতিযোগিতার আয়োজক এবং এথিক্স অ্যাডভান্স টেকলোনজি লিমিটেডের (ইএটিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম এ মুবিন খান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এডুটিউব নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানান এবং ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে মোবাইল ডিভাইসকে ভাল কাজে ব্যবহার করতে পারে,জ্ঞান-অর্জনের জন্য ব্যবহার করে এই বিষয় মাথায় রেখে এডুটিউব কুইজ কনটেস্টের আয়োজনের কথা জানান। আগামী পাঁচবছরে তিনি এই প্রতিযোগিতা দেশের সব স্কুল-কলেজে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জনাব এম এ মুবিন খান বলেন,ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে নবদিগন্তের সূচনা করবে বলে আমরা বিশ্বাস।
প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন,তোমরা যারা এখন নবম দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছ তারা ভাগ্যবান। কারণ তোমাদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে একটি মাইলফলক।এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসবে।
মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট ২০২২-এর টপ-১৬ ও টপ- ৮ দলগুলো নিয়ে এই কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতার বিভাগীয় রাউন্ডে উত্তীর্ণ আটটি বিভাগের ২টি করে সেরা দল আজকের টপ-১৬ পর্বে অংশ নেয়। টপ-১৬ থেকে সেরা আটটি দল টপ-৮ পর্বে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে টপ-৮ থেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জন্য ৪টি দল যথাক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘অনন্য অন্নদা’,ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ট্রোজান’, ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘ঝিনুক ২২’এবং পটুয়াখালীর গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ‘দ্য টেলেঞ্জার’ দল নির্বাচিত হয়।
টপ-১৬ থেকে টপ-৮ পর্বে উত্তীর্ণ বাকি দলগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ‘অদম্য ৩’, নওগাঁ কৃষ্ণধন (কে.ডি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘কেডি কুইজারস স্কোয়াড’, শ্রীমঙ্গলের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ফেলুদা, এবং ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের এম.জেড.এস ২২ কুইজ টিম। টপ-১৬ পর্ব থেকে বাদ পরা ৮টি দলকে পচিঁশ হাজার টাকা করে, টপ-৮ পর্ব থেকে বাদ পরা ৪টি দল কে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ও সনদপত্র দেয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণদের নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়, যাতে চ্যাম্পিয়নদল পাঁচ লাখ টাকাসহ ৪টি দল মোট এগার লাখ টাকা পুরস্কার হিসাবে পাবে।
এর আগে ১০ই মে ২০২২ মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল শেরাটনে এডুটিউব কুইজ কনটেস্ট ২০২২ এর শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি,এমপি। এথিক্স অ্যাডভান্স টেকলোনজি লিমিটেডের (ইএটিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এম এ মুবিন খানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মারসি এম. টেম্বন।
এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য একটি শিক্ষা-সামাজিক আন্দোলন তৈরির মধ্য দিয়ে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা। আমাদের কিশোররা যেন মোবাইল এবং ইন্টারনেটের নেতিবাচক অংশ থেকে দূরে সরে এসে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং গঠনমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে এই লক্ষ্যেই আমাদের এই কুইজ আয়োজন। এই উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে বিশ্বব্যাংক নলেজ পার্টনার, টেকনোলজি পার্টনার হিসাবে হূয়াওয়ে এবং স্ট্রে্টেজি পার্টনার হিসাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।