রংপুর বিভাগে জনজীবন বিপর্যয় কোয়ারেন্টাইনে ৭৪৬ জন।
রংপুর ব্যুরো
করোনাভাইরাস আতঙ্কে কমে গেছে রংপুর মহানগরীতে মানুষের চলাচল ।সুরভী উদ্যান, চিড়িয়াখানা, বিভিন্ন বিনোদন স্পটগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মানুষ বাজারে ভিড় করছেন। তারা অতিরিক্ত জিনিস কিনছেন। ফলে বাজারে সব পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি। অনেক মানুষ বাদ পড়ে শহরে ঘোরাফেরা করছেন অফিস-আদালতে উপস্থিতি ও কমে গেছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সচেতনতায় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। সবাইকে তিনি সচেতনভাবে হাত ধোয়া এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রংপুরের ডিসি আসিব আহাসান জানিয়েছেন, করোনা সচেতনতায় বিদেশফেরত দেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কাজ করছি। তবুও যদি কেউ না থাকেন তাহলে প্রয়োজন হলে সেখানে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করবেো।এছাড়াও নিত্যপণ্যের বাজার যেন কেউ বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে নগরীর সিটি বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগের আট জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন বিদেশ ফেরত আরও ১২৮ জন। এনিয়ে এই বিভাগে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন ৭৪৬ জন।
রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো: আমিন আহমেদ খান জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত এই বিভাগের আট জেলায় মোট ৭৪৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টাতেই গেছেন ১১৮ জন। যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের মধ্যে রংপুরে ১৮১, পঞ্চগড়ে ২৮, নীলফামারীতে ১১৯, লালমনিরহাটে ৭২, কুড়িগ্রামে ১২৮, ঠাকুরগাওয়ে ৭৪, দিনাজপুরে ৬২ এবং গাইবান্ধায় ১১৬ জন আছেন। এছাড়া ৫০ জনকে এই বিভাগে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।