শেখ রাজীব হাসান, গাজীপুরঃ
গাজীপুরের টঙ্গীতে মিছিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পৃথক জায়গায় রাতুল (২০), সুজন (৩০) ও পাবেল (১৮) নামে তিন যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৯শে মে রবিবার টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ঝিনু মার্কেট এলাকায় পাবেল ও টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন আউচপাড়া এলাকায় রাতুল ও সুজনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পাবেল পাগাড় সোসাইটি মাঠ এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মিছিলে ১০০জন লোক না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিল্লাল হোসেন, মিলন, সেলিম, আইজুল ও ফয়সাল ক্ষিপ্ত হয়ে পাবেলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে বিল্লাল, মিলন ও সেলিম মাদকের সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া আইজুল ও ফয়সাল এলাকায় উছশৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করে। মুলত পাবেল কে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতো বিল্লাল। পাবেল লোক নিয়ে না যাওয়ায় বিল্লালের নেতৃত্বে কাঠের টুকরো দ্বারা পাবেলকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাদের সাথে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে আঘাত করতে চাইলে পাবেলের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অপরদিকে আহত রাতুল ও সুজন মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী আয়েশা আক্তার আশার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেনের অনুসারী। মিছিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকার স্থানীয় ফরহাদ হোসেন আহত সুজনকে মোবাইলে ফোন করে নিয়ে সঙ্গীয় আবু সাঈদ, বাবু, আব্দুল হাই, রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে সুজন ও তার সাথে থাকা রাতুল কে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং ইট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন ¯’ানে আগাত করে।
ঘটনাস্থলে থাকা এলাকাবাসী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইসমাইলের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে সুজনের ডাকে সারা দিয়ে ফরহাদের কিছু লোকজন ইসমাইলের মিছিলে অংশগ্রহন করে। আর এই ঘটনায় ফরহাদ চড়াও হয়ে সুজনকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এসময় সুজনের সাথে থাকা রাতুল কে প্রচুর মারধর করে সন্ত্রাসীরা। রাতুল ও সুজনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাতুল ও সুজনকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি উন্নত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম জানান, মারামারির ঘটনার কথা শুনে ঘটনা¯’লে লোক পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।