সাদুল্যাপুরে জন্ম নিবন্ধন ও আইডি কার্ড জালিয়াতি করে সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা ।
মোনায়েম মন্ডল ,গাইবান্ধা থেকে
মোনায়েম মন্ডল : গাাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার তরফ সাদুল্যা গ্রামে জন্ম নিবন্ধন সনদে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রে জালিয়াতি করে অন্যের দাদাকে পিতা বানিয়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, উক্ত গ্ৰামের হাসেন আলী নামের জনৈক ব্যক্তির পিতার নাম শুকনা ফকির। মায়ের নাম আমেনা বেগম। তার বোন ছায়তুন নেছার জন্ম নিবন্ধন মতে পিতা-মাতার নামও একই রয়েছে।
এদিকে, উল্লেখিত হাসেন আলী অত্যন্ত ধুরন্ধর প্রকৃতির হওয়ায় তার পিতার নাম শুকনা ফকির হওয়া সত্ত্বেও অন্যের দাদার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় পিতার নামের স্থলে শুকনা ফকির না বসিয়ে প্রতিবেশী জনৈক ওয়াহেদ আলী গং এর দাদার নাম নইম উদ্দিন বসিয়ে অর্থাৎ ওয়াহেদ আলী গং এর দাদাকে হাসেন আলী নিজের পিতা সাজিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে এবং এতে জন্ম তারিখ দেখানো হয় ৩০-৩-১৯৫২ ইং।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্লেখিত হাসেন আলীর জন্ম নিবন্ধন সনদ রয়েছে ২টি। একটি জন্ম নিবন্ধন সনদে রয়েছে মোঃ হাসেন আলী আবুল হোসেন, পিতার নাম মৃত নইমুদ্দিন ফকির, মাতার নাম রয়েছে মৃত আমেনা বেগম এবং আরেকটি জন্ম নিবন্ধন সনদে রয়েছে আলহাজ্ব মোঃ হাসেন আলী, পিতার নাম মৃত শুকনা ফকির এবং এনআডি কার্ডে মায়ের নাম আমেনা বেগম লিখলেও পিতার নামের স্থলে দাদার নাম নইম উদ্দিন এবং প্রতিটি কার্ডে মায়ের নাম আমেনা বেগম রয়েছে। দুটি জন্ম সনদেই জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ৩-১-২৯৬৭ ইং এবং এনআডি কার্ডে জন্ম তারিখ ৩০-০৬-১৯৫২ ইং। সুতরাং জন্ম নিবন্ধন সনদের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের কোন মিল নেই।
সুত্র জানায়, জনৈক নইম উদ্দিনের পুত্রদের কমপক্ষে তিন বিঘা জমি হাসেন আলী পৈত্রিক সূত্রে দাবি করে অবৈধভাবে জ্ববর দখলের চেষ্টা করলে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাহিনী ফাঁস হয়ে যায়। এঘটনায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনার আশংকা করছেন এলাকার শান্তি প্রিয় জনগণ।