মো: মোস্তফা মিয়া,শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০, সকাল ৫:৪৯ সময়0557
৭০ জন শিক্ষার্থী
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপের হাট আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ে টাকা ছাড়া নতুন বছরের বই দেওয়া হচ্ছে না প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থীদের। এব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীরাসহ তাদের অভিভাবকেরা সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বরাবরে ৯ জানুয়ারি বৃহম্পতিরার একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে সকাল ১১টা থেকে তারা স্কুল মাঠে প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিভিন্ন অনিয়ম- দূর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সরেজমিন জানা যায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার ৬নং ধাপেরহাট ইউনিয়নের আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালো ভাবেই পরিচালনা হয়ে আসছিল। এরপর প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম যোগদান ও বর্তমান কমিটি গঠন নিয়ে মামলা এবং স্বজনপ্রীতি করে কমিটি গঠন এমন উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে স্কুলটির পাঠদানের পরিবেশ নস্ট হওয়ার উপক্রম । স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিবাদের কারণে উক্ত স্কুলের শিক্ষকেরা নিজ ইচ্ছামত স্কুলে আসেন এবং চলে যান, অভিভাবদের উপর কোন কিছু বললেই চেতে গিয়ে মারমূখি হয়ে উঠেন, স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন, আচরণ খারাপ করেন, ঠিকমত ক্লাশ করান না বলে অভিভাবকেরা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের ৯ জানুয়ারি বৃহম্পতিবার সকাল ১১টায় স্কুলে গেলে জানান। অভিযোগ ও উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পযন্ত বিনামূল্যেয় বই বিতরনের নিয়ম থাকলেও প্রতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে পুনঃ ভর্তির নামে ৩' শ ৫০ টাকা ও ৫' শ ৩০ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে। আর যে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপের হাট আমবাগান উচ্চ বিদ্যালয়ে টাকা ছাড়া নতুন বছরের বই দেওয়া হচ্ছে না প্রধান শিক্ষকের দাবীকৃত ৫৩০ টাকা দিতে পারছে না তাদেরকে নতুন বছরের বই দেওয়া হচ্ছে না । অভিযোগকারী অভিভাবকরা আরো জানান, প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম সরকারী আদেশের তোয়াক্কা না করে নিজ খেয়াল খুশিমত স্কুল পরিচালনা করছেন। টাকার অভাবে আমরা অসহায় দরিদ্র, ভ্যান - রিক্সা, দিন মজুর, মধ্যবিত্ত শ্রণীর প্রায় শতাধিক অভিভাবক আমাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি আমাদের উপড় চড়াও হয়ে বলেন, টাকা ধায্য করা হয়েছে বাধ্যতামূলক এক টাকাও কম নিয়ে বই দেওয়া হবে না। টাকা বেশি নেওয়ার বিষয় নিয়ে উক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাক-বিতন্ডাও হয়েছে। এখন আমাদের সন্তানদের জীবন নস্ট হওয়ার পথে। এব্যাপারে আমরা অভিভাবকরা সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ বৃহম্পতিবার দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল থেকে দূর্নীতি দমন কমিশনের ১০৬ নাম্বারে কল