পীরগঞ্জে নুনদহ ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্নের আগেই নিচের অংশে ফাটল
মোস্তফা মিয়া পীরগঞ্জ (রংপুর)থেকে:
রংপুরের পীরগঞ্জে নির্মাণ শেষ হবার আগেই করতোয়া নদীর উপর নির্মানাধীন ন্যুনদহ ব্রীজের নীচের অংশ পিয়ার ক্যাপে বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। ফলে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন ব্রীজের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের স্পিকার রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের এমপি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পীরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল এবং দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলার মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা নিশ্চিতের লক্ষে করতোয়া নদীর উপর এ ব্রীজ নির্মানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে নির্দেশের আলোকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) এর আওতায় সি,আই,বি প্রজেক্টের মাধ্যমে করতোয়া নদীর উপর চতরা জি,সি গিলাবাড়ী ঘাট ভায়া নিশ্চিন্তবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে ন্যুনদহ ঘাট পর্যন্ত করতোয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের জন্য ২৬ কোটি ৮২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮শত ৭৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে বিগত ২০১৮ সনের ৯ মে চট্রগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “ পি,পি, এল, জে,ভি ” ৫২ ছাত্তার ম্যানসন ও প্যান্স লাইন্স ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করে।
শর্তানুযায়ী বিগত ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্রীজ নির্মানকাজ সম্পন্ন হবার কথা। অথচ এখন পর্যন্ত নুনদহ ব্রীজের মাত্র ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্ষা মওসুম শেষে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ব্রীজের পিলার ও এবাটমেন্ট এর নিচের অংশ দৃশ্যমান হয়। এতে দেখা যায়, সব ক’টি পিলার ও দু পার্শ্বের এবাটমেন্ট এর নিচের অংশ ভেঙ্গে গেছে। এতে ব্রীজের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার এলজিইডি’র একটি বিশেষজ্ঞ টীম ব্রীজের সামগ্রিক অবস্থা সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তে তারা কি পেয়েছন? তা এখনও জানা যায়নি। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ ব্রীজের কোন ক্ষতি করবে কি না ? তাও এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী জানান, ন্যুনদহ ব্রিজের জন্য ৫ একর ৩৩ শতাংশ জমি এখনও অধিগ্রহন সম্পন্ন হয়নি। কাজ করতে গিয়ে বারবার জমি মালিকদের কাছ থেকে বাধার সম্মুখিন হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সোমবার ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম ব্রীজ পরিদর্শন করেছে। সেই টিমের নির্দেশনামতে পরবর্তি পদক্ষেপ গৃহীত হবে। তিনি আরও জানান, জেলা প্রকৌশল বিভাগের অনুমোদন ও ঢাকাস্থ প্রধান প্রকৌশল দপ্তরের অনুমোদন পত্র নিয়ে বিগত ২০১৯ সনের ২৫ আগষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। জেলা ভূমি কার্যালয় হতে অনুমোদন এলেই জমির মালিকগন জমি অধিগ্রহনের টাকা পাবেন এবং ব্রীজ নির্মান কাজেরও গতি বাড়বে। ২০১৯ সালের পিয়ার ক্যাপের ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে।