গাইবান্ধা সদরের সাহাপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধ,সংঘর্ষের আশঙ্কা
মোনায়েম মন্ডল গাইবান্ধা থেকে:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের কবিরের পাড়া গ্রামের জনৈক সোলায়মান মিয়া ৩০ বছর ধরে চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসা পৈত্রিক সম্পত্তি জনৈক নুরুল ইসলাম মন্টুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী প্রকৃতির একদল ব্যক্তি জমি জবর দখলের চেষ্টা করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ১৯৯০ ইং সালে উক্ত গ্রামের মৃত আফান উল্লাহর পুত্র মোঃ সিরাজ উদ্দিন তার স্ত্রী মোছাঃ সালেমা খাতুনকে হেবাবিল এওয়াজ দলিল মূলে ১৭ শতাংশ জমি প্রদান করেন। উক্ত জমি সোলায়মান মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত পৈত্রিক/মৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছিল।
সুত্র জানায়, উল্লেখিত জমির কাছে জনৈক ব্যক্তি ইটভাটা নির্মাণ করায় উক্ত জমিটিও ইটভাটার কাজে ব্যবহার করার জন্য সোলায়মান মিয়ার কাছে লিজ নেয়ার প্রস্তাব দেয় এবং জমির কাগজপত্র দেখে দেখে চুক্তিপত্র করা হয়। কিন্তু এ সময়েই একই এলাকার মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম মন্টু এলাকার একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে উক্ত জমি নিজের বলে দাবি করে গত ৩১/০১/২০২৩ ইং তারিখে জবর দখলের চেষ্টা করে। ফলে সোলায়মান মিয়া নিরুপায় হয়ে গত ২/২/২০২৩ ইং তারিখে গাইবান্ধায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় পিটিশন নং ১৩৬/২৩ মামলা দায়ের করেন।যা সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। সোলায়মান মিয়া উক্ত জমিতে মৌসুমে ইরি ধান চাষ করেছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ভয়ে সে অর্ধ পাকা ধান কেটে ওই জমিতে গাছ লাগিয়েছে।
এদিকে এ খবর পেয়ে নুরুল ইসলাম মন্টু গং ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং সোলায়মান মিয়া বা তার পরিবারের লোকজনকে যখন যেখানে যে অবস্থায় পাবে হত্যা করে লাশ গুম করবে বা হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে দিয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সোলায়মান মিয়া বাদি হয়ে নুরুল ইসলাম মন্টু সহ ৫ জনকে প্রতিপক্ষ করে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০৭/১১৭(স) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকার শান্তি প্রিয় সচেতন জনগণ। তাই সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।