গাজীপুরে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু স্বামীসহ আটক ৩,পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা ।
শেখ রাজীব হাসান, টঙ্গী-গাজীপুর
গাজীপুরের টঙ্গীতে মানসুরা আক্তার আঞ্জরা (২২)নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যাকে রহস্যজনক মনে করছেন নিহতের স্বজনরা।গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্থানীয় মরকুন মধ্যপাড়া শাজাহান ফকিরের বাড়ির ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে স্বামী নয়ন (২৪),দেবর আরশাদ (২২) ও ননদ সোলেমাকে(২৬) আটক করেছে।নিহত মানসুরা নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার জাগির গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহত মানসুরার পিতা মোঃ মোসলেম উদ্দিন জানান,প্রায় ১১ মাস পূর্বে একই থানা এলাকার কমল ফকিরের ছেলে এরশাদ হোসেন নয়নের সাথে বিয়ে হয় মানসুরার। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে মরকুন মধ্যপাড়া এলাকায় শাজাহান ফকিরের ভাড়া বাসায় স্বামী ও তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকতো।বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আমার মেয়েকে টাকার জন্য মারধর শুরু করে।আমি একজন দরিদ্র কৃষক দিন আনি দিন খাই,টাকা এনে দেয়ার জন্য মেয়েকে চাপ দিয়ে আসছিল আমি অনেক কষ্ট করে একবার পাঁচহাজার টাকা দিয়েছিলাম।এবারে আবার বিশ হাজার টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করেছে।মঙ্গলবার রাত্রে আনুমানিক ৯টার দিকে মানসুরা ওর মাকে ফোন দিয়ে টাকার জন্য কান্নাকাটি করেছে।আমার মেয়ে বলেছে বাবা টাকা না পাঠালে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।আমরা টাকা জোগার করে পাঠাতে পারিনি বলে ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।আমি যদি পারতাম তাইলে তো মাইয়ার লাইগগা গায়ের রক্ত বিক্রি কইরা টাকা পাঠাইতাম।আমি আমার মাইয়ার হত্যার বিচার চাই।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস,আই জুলহাস উদ্দিন জানান,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি খাটের উপর শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই।পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করি। নিহতের গলার ডান পাশে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী,দেবরওননদকে আটক করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআমিনুল ইসলাম জানান,এঘটনায় তিনজনকে থানায় এনে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।