ছাতকে কমিউনিটির জন্য রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং চালু করেছে লাফার্জ-হোলসিম
সেলিম মাহবুব, সিলেট থেকেঃ
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে কোম্পানির প্ল্যান্টের পাশে বসবাসকারী মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে "রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং”প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল সামগ্রী উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। ছাতকে প্লান্ট সংলগ্ন মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানির সহজ লভ্যতা সবসময়ই কঠিন ছিল। বাড়ির পাশের পুকুর এবং অন্যান্য উৎস থেকে এই এলাকার মানুষেরা খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকেন যা খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয় এবং পানি বাহিত রোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব বিবেচনায় এনে লাফার্জ-হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা ইকবাল চৌধুরী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বুধবার প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় কোম্পানির চীফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আসিফ ভূইয়া, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিরেক্টর, হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর, প্রকল্পের সুবিধাভোগীবৃন্দ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। প্ল্যান্ট এলাকার মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে লাফার্জ-হোলসিম এগিয়ে এসে "রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং"র মতো টেকসই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে প্ল্যান্ট সংলগ্ন ১০ টি বাড়ীতে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। যেখান থেকে আশ-পাশের ৫০ টি পরিবারের মানুষ সারা বছর নিরাপদ খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারছেন। ছাতকে বছরের প্রায় ৬-৭ মাস বৃষ্টি হয়, তাই এটা একটা খাবার পানির ভালো উৎস। স্থাপিত এ পানির ট্যাংকির অভ্যন্তরে রয়েছে ওয়াটার ফিল্টারিং সিস্টেম। ফলে এই পানি পান করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সারা বছর এই ট্যাংকি গুলোতে ২৬০,০০০ লিটার পানি সংরক্ষণ করা যাবে। প্রকল্প উদ্বোধনের সময় লাফার্জ-হোলসিমের সি ই ও ইকবাল চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের নিরাপাদ খাবার পানি সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প। কোম্পানিটি এলাকার মানুষের জন্য এই সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে।এখন এটাকে নিজের সম্পদ মনে করে কাজে লাগাতে পারবেন এর রক্ষনা বেক্ষন নিশ্চিত করবেন। তিনি বলেন আগামী দিন গুলোতে কমিউনিটির সামগ্রিক উন্নয়নে তারা আরো বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী প্রকল্প চালু করবেন। কোম্পানির চীফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আসিফ ভূইয়া কমিউনিটির মানুষের প্রতিনিয়ত সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্থাপিত পানির এ ট্যাংকিগুলো তদারকির প্রয়োজন। তবেই এখান থেকে দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা পাওয়া যাবে। আনরা বিশ্বাস করি এটা একটা টেকসই সমাধান। যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।