গাজীপুরে বাড়ির মালিকের সহযোগীতায় কিশোরীকে ধর্ষণ,থানায় অভিযোগ ।
খবরের সময় ডেস্ক
গাজীপুরে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণে সহায়তা করেছে বলে এক বাড়িরমালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুর মহানগরের পুবাইল থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মাজুখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু হানিফ (৩৭) ও শাহ আলম (৪৬) নামের ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বাড়ির মালিক সেলিনা বেগম পলাতক রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পূবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, সেলিনা বেগমের বাসায় ওই কিশোরী ভাড়া থেকে একটি টেইলার্সে কাজ করে। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে বাসার মালিক সেলিনা কৌশলে কিশোরীকে ওই বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে যান। পরে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। আবু হানিফ এবং শাহ আলম ওই কক্ষে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। দু’জন এক পর্যায়ে কিশোরীর হাতে থাক মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে হানিফ ও শাহ আলম ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে অবস্থান করা আরও দু’জন ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।ওসি নাজমুল হক ভূইয়া জানান, শনিবার ওই কিশোরী বাদী হয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছে। দু’জনকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রবিবার গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।