সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সকাল ৯:১৫ সময়
গাজীপুরে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
:গাজীপুর মহানগরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেনিতে পড়ুয়াছাত্রী মীম (ছদ্মনাম)কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । যৌন হয়রানীর স্বীকার ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ইং তারিখে ক্লাস শেষে বাসায় চলে যায় সকল ছাত্রছাত্রী । বিকাল ৩.৪৫ মিনিটে কায়েদে মিল্লাত তার ব্যবহৃত মুঠোফোন দ্বারা ঐ ছাত্রীকে অভিভাবক সদস্য ভোটার তালিকা হালনাগাত করার জন্য পিতা অথবা মাতার নাম স্বহস্তে লিখে স্বশরীরে স্কুল কক্ষে নিয়ে আসতে বলেন । পিতার নাম ভোটার তালিকায় লিপিবদ্ধ করার জন্য স্কুলের মিল্লাতের অবস্থানরত কক্ষে প্রবেশ করার পর একথা সেকথা বলে এক পর্যায় এ ছাত্রীর স্পর্শকাতর জায়গায় জোরপূর্বক আলিঙ্গন করতে থাকেন । ছোট মানুষ এহেন অশ্লীল কাজের প্রতিবাদ করলে লম্পট মিল্লাত ঐ ছাত্রীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় । এক পর্যায়ে কৌশল করে রুম থেকে বের হয়ে যায় মীম ।
বাসায় গিয়ে বাবা মাকে যৌন হযরানীর ঘটনার বর্ননা দেয় । অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি‘র সভাপতি রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডলকে বিষয়টি অবগত করেন মীমের অভিভাবক । সভাপতি ভুক্তভোগীদের শান্তনামূলক কথা বলে বিদায় করার পর বিদ্যালয় প্রধান,হারুন অর রশীদকে বিষয়টি অবগত করেন । অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন আশ্বাস দেন প্রধান শিক্ষক ।
এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, জুয়েল মন্ডল প্রধান শিক্ষককে বলেন,দ্রুত মিটিং ডেকে সমস্যার সমাধান করেন । কোন কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বদনাম যেন না হয় । এর আগেও কায়েদে মিল্লাত শিক্ষকের নামে চন্দনা মিলন একাডেমিতে এক ছাত্রীর সঙ্গে একই রকম ঘটনা ঘটিয়েছিল ।
জনপ্রিয় তরুন রাজনীতিবিদ,শিক্ষানুরাগী,রাশেদুজ্জামান জুয়েল মন্ডল এমন কথা বলায়,প্রধান শিক্ষকের জন্য হিতে বিপরীত ভেবে উল্টো জুয়েল মন্ডলের বিরুদ্ধে লাইভে এসে অপ প্রচার চালাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বে ২০১৬ বা ততোধিক কালে গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি‘র যারা সন্মানীত সভাপতি ছিলেন,করো সঙ্গেই হারুন অর রশীদ প্রধান শিক্ষক এর ভাল সম্পর্ক ছিল না । সেই সমস্ত প্রমানাদী আমাদের কাছে সংরক্ষিত ।
উল্লেক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভূক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবার এখন অনিরাপত্তায় ভূগছে । একদিকে সুষ্ঠ বিচার না পাওয়ায়,পাশাপাশি অনিরাপত্তাজনিত কারণে বাধ্য হয়ে জিএমপি‘র গাছা থানা সাধারণ ডায়রী,অভিযোগ, জেলা প্রশাসক,গাজীপুর বরাবর, স্মারকলিপি প্রদান করেছে ।
অপর দিকে জানা যায়,অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে । নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক সদস্য বলেন, ঐতিহ্যবাহী গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এখন আগের মত নেই । একটা লজ্জ্বাসকর ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে ! নিশ্চয়ই এর আগেও এমন ঘটনা আরও ঘটেছে । এই একটা ঘটনা এখন সব লোকের মুখেমুখে॥ আমাদের ছেলে মেয়েরা আগামীতে কি শিখবে ? এদিকে ঐ লম্পট শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে প্রধান শিক্ষক নেপথ্যে কাজ করছে । এটা অত্যন্ত দু:খজনক, প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষককেও আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হউক ।
৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান,৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর যৌন হয়রানীর বিষয়টি আমি শুনেছি । এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা,এমন অশ্লীল ঘটনা আমাদের কাম্য নয় । অপরাধীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া দরকার ।
মুঠোফোনে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি‘র সভাপতি, জনাব জুয়েল মন্ডলের নিকট ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার আমার কাছে এসেছিল, তারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন,প্রশাসনিক ভাবেও বিষয়টি অনেকেই জানন । সুতরাং প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের বাহিরে আমরা যাব না । পাশাপাশি প্রচলিত আইনে যা হবার তাই হবে । তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান পাওয়া গেলে,আমিও চাই কঠিন শাস্তি হউক॥
অন্জন কুমার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা,গাজীপুর বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার আমাদেরকে স্মারকলিপি দিয়েছেন,জেলা শিক্ষা অফিসার কে প্রধান করেন একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে । তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নিবো ॥