পীরগঞ্জে অনুমতি ছাড়াই করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন,প্রশাসনের নীরব ভূমিকা
মোস্তফা মিয়া-পীরগঞ্জ,রংপুর থেকে :
রংপুর জেলা পীরগঞ্জ উপজেলা ৬নং টুকুরিয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ দুর্গাপুর,মোনাইল,টিয়োরমারী,বিছনা,সাতুয়া মৌজায় করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা।এতে ফসলি জমি এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে।ভুক্তভোগী টিয়োরমারী গ্রামের শাহাদাত হোসেন বলেন করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু লুটে নিচ্ছেন এমনকি অন্যের জমি খনন করেও তারা বালু উত্তলন করছেন।ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে আমাদের অনেক কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে তাই আমি এক সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের পীরগঞ্জের অভিভাবক জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডাঃশিরীন শারমিন চৌধুরী সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এলাকায় বসবাস কারী ফারুক বলেন প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা উপজেলার খালাশপীর হাটের পশ্চিমপাশে করতোয়া নদী উপর তীরবর্তী কয়েক মৌজায় অন্তত ২০টি স্থানে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবাধে বালু তুলছেন। শুধু মাত্র দুর্গাপুরে মৌজায় কয়েক মিটারের মধ্যে ড্রেজার মেশিন চলে প্রতিদিন ৭/১০ টা। টিয়োরমারী গ্রামে লুৎফর রহমান বলেন এতে নদের তীরে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি ধসের সৃষ্টি হয়েছে।তাই শুধু মাত্র অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করলে আমরা বাঁচব না সেই জমি গুলো বাচাতে হলে নদী তীর ব্লক দিয়ে বেধে দিতে হবে তা নাহলে আমাদের সব জমি নদী গর্তে বিলিন হয়ে যাবে। টিয়োরমারি, করতোয়া নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালীদের আমরা অনেক বালু ব্যবসায়ীকে অনুরোধ সত্ত্বেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন।সারা দিনরাত ট্রাকে বালু পরিবহন করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ধসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবার বালু তোলার কারণে করতোয়া নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও বাড়িঘর বাড়ি হুমকি মুখে এখন। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার মেলেনি।দুইবছরে ধরে এই ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু চক্র আমরা দেখেছি যে এতো দীর্ঘ সময় কোন এলাকার বালু উত্তোলন করে নাই । প্রশাসন তা বন্ধ করে দিয়েছে এখানে কেনো দিচ্ছে না আমরা বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে কোন সারা পাওয়া যায় নাই।