তানিন আফরিন.গাইবান্ধা থেকে:
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানা পুলিশের সফল পৃথক অভিযানে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৯ জন সদস্য কে গ্রেফতার ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে৷
গাইবান্ধা জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা যায়,
অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা গত ৩০ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে রাত্রী অনুমান ১০ ঘটিকা হইতে রাত্রী অনুমান ১১ টা ৫০ মিনিটের সময়ের মধ্যে অত্র থানাধীন নুনিয়াগাড়ী মৌজাস্থ পলাশবাড়ী থানাধীন পলাশবাড়ী এসএম হাইস্কুল মার্কেট এর গলির ভিতরে আল মদিনা কাপড়ের দোকানের সামনে হইতে বাদীর একটি টিভিএস ব্রান্ড এ্যাপাসি আরটিআর ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল, যাহার আনুমানিক মূল্যে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা। মোটরসাইকেলটি অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া লইয়া যায়। বাদীর উক্তরুপ ঘটনায় অফিসার ইনচার্জ পলাশবাড়ী থানা এফ আই আর নং-২০/২১৫, তারিখ-১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ।
এ মামলা রুজুর পর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে পুলিশের একটি চৌকশ দল পলাশবাড়ী থানার জিডি নং-৮৪৪ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ও অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরদের গ্রেফতারের অভিযান করাকালে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আসামী ১। তাহসিন সরকার @ তাওহিদ (১৯), ২। জাহিদ হাসান (২০),৩। ফরহাদ ইসলাম (২৫) কে পলাশবাড়ী থানাধীন উদয় সাগর মৌজাস্থ গাইবান্ধা টু পলাশবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের উপর হইতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত্রী ১২ টা ৫০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা তাহাদের প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ধৃত আসামী ৪। মামুন সরকার (২৭), ৫। হৃদয় মন্ডল @ নুর ইসলাম (২৩), ৬। নাজমুল হক (২০), ৭। নয়ন সরকার (২০) কে পলাশবাড়ী থানাধীন শিবরামপুর মৌজাস্থ পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর গেইটের সামনে হইতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত্রী ১ টা ২০ মিনিটের সময় গ্রেফতার করিয়া থানায় হাজির করা হয়।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীগণদের অত্র থানায় পুলিশ হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তে আসামী জাহিদ হাসান এবং ফরহাদ ইসলাম জানায় যে, তাহারা অপরাপর তদন্তে ধৃত আসামীগনের সহযোগিতায় বাদীর মোটরসাইকেলটি চুরি করতঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি থানাধীন কোটপাড়া মৌজাস্থ শ্রী মন্টু পাল এর নিকট গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বাদীর চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি বিক্রয় করে।
ধৃত আসামীদ্বয়ের এহেন তথ্যর ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিয়া পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল আসামী জাহিদ হাসান ও ফরহাদ হোসেনকে সঙ্গে লইয়া চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার নিমিত্তে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেক্রমে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গি থানার উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া রাত্রী অনুমানিক সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় উপস্থিত হইয়া বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের সহায়তায় একই তারিখ ভোর ৫ টা ২০ মিনিটের সময় বালিয়াডাঙ্গী থানাধীন কোটপাড়া মৌজাস্থ তদন্তে আসামী শ্রী মন্টু পাল এর নিজ বসতবাড়ী হইতে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ কালে ধৃত আসামী ৮। শ্রী মন্টু পাল উল্লিখিত চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি অপরাপর আসামী জাহিদ হাসান ও ফরহাদ হোসেন এর নিকট হইতে বিশ হাজার টাকায় ক্রয় করিয়া বালিডাঙ্গি থানাধীন উদয়পুর মৌজাস্থ মোঃ মফিজুল ইসলাম এর নিকট ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করিয়াছে মর্মে স্বীকার করে। একই তারিখ ভোর ৫ টা ৫০ মিনিটের সময় ধৃত আসামী শ্রী মন্টু পাল এর তথ্যের ভিত্তিতে বালিডাঙ্গি থানাধীন উদয়পুর মৌজাস্থ আসামী ৯। মফিজুল ইসলাম এর বসতবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করিয়া তাহাকে গ্রেফতার করে। এবং তাহার দেখানো মতে তাহার শ্বয়ন কক্ষ হইতে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
পরবর্তীতে পলাশবাড়ী থানার জিডি নং-৮৬৩, তারিখ ১৯/০৯/২০২৩ ইং মূলে দুপুর ২ টা ২০ মিনিটের সময় ধৃত আসামীগণ ও জব্দকৃত মালামালসহ থানায় হাজির করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীগনের বিরুদ্ধে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়ায় আরো জানা যায় যে আসামীগন নিয়মিত ভাবে পলাশবাড়ী থানা এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় মোটরসাইকেল চুরি ও ছিইতাই করিয়া থাকে। তাহাদের প্রকাশ্য স্থায়ী কোন জীবিকা বা পেশা নেই। চুরি করাই তাহাদের একমাত্র পেশা বলে জানায় পুলিশ। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করছেন পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনর্চাজ আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।