তানিন আফরিন,গাইবান্ধা থেকে:
গাইবান্ধা জেনারেল সদর হাসপাতালের প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক নুর এ ইসলাম হিরু গত ১৫/১৬ বছরে কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন, বিষয়টি গাইবান্ধার সচেতন মহলের মধ্যে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গত কয়েকদিন পূর্বে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে হিরুর বহুতল ভবনের দৃশ্যায়ন সর্ম্পকিত নিউজ পোষ্ট করা হয়।
গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল এলাকার বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, নুর এ ইসলাম হিরম্ন গাইবান্ধা পৌরসভার মহুরীপাড়ায় ৯০ লক্ষ টাকায় দামি জমি ক্রয় করে সেখানে ৮তলা ভিত্তি স্থাপন করে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। যথারীতি ৩ তলা পর্যনত্ম নির্মাণ কাজ হয়ে গেছে। সদর হাসপাতালে চাকুরী হওয়ার পর থেকে নুর এ ইসলাম হিরু আস্তে আস্তে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তার দুর্নীতি ক্রমেই বাড়তে থাকে।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমালে ১৫/১৬ বছরে লালে লাল কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন। প্রকাশ, প্রতি বছর সদর হাসপাতালে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বিভিন্ন সামগ্রী বাবদ বাজেট আসে। এমএসআর যন্ত্রপাতি, ইসিজি মেশিন, এক্সরে মেশিন, অপারেশন থিয়েটার যন্ত্রপাতি মেরামত বাবদ ও কন্টেন্সি বিল ভুয়া ভাউচার করে ডাক্তার মাহাবুব হোসেনের সহায়তায় লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে ২জন ভাগাভাগি করে নেয়। এভাবেই নুর এ ইসলাম হিরম্ন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন। উল্লেখ্য, হিরুর মহুরীপাড়ায় নির্মাণাধীন বহুতল ভবনসহ শহরে কয়েকটি জমি বাড়ি রয়েছে।
এই মোঃ নুর ইসলাম (হিরু) ও সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিলে সরকারি হাসপাতালে ভুয়া বিল ভাউচার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, জানা গেছে হাসপাতালে এসি মেরামত করা, ঘাস কাটা, আসবাবপত্র মেরামত মালামাল কেনা কাটাসহ বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা আত্মসাত করে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। শুধু তাইনয়, এই প্রধান সহকারী হিরুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে, তিনি বলেন, আমি সরকারিভাবে আমার সমপদের হিসাব দিয়েছি, আপনারা কে? কি বলতে চান?
তিনি আরো বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে লিখবে তাদের নামে আইসিটির মামলা করবো। আপনারা যদি আমার অর্থনীতির ব্যাপারে কিছু জানতে আয়কর অফিসে খোঁজ খবর নিতে পারেন, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। আমি প্রতিবছর নিয়মিত কর প্রদান করে থাকি। পরে সাংবাদিকরা অফিসে গেলে তিনি সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে যান।