কুড়িগ্রামের উলিপুরে ননদের পরিবর্তে বিয়ের পিঁড়িতে ভাবি ।
ননদের পরিবর্তে বিয়ের পিঁড়িতে ভাবি বসার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদুল্যা আকইপাড় গ্রামের বাবলু মিয়ার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যার সঙ্গে একই ইউনিয়নের বামনাছড়া রশিদ মার্কেট এলাকার রোস্তম আলীর পুত্র আল আমিনের বিয়ে ঠিক হয়।
সোমবার রাতে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত লোকজনের আপ্যায়ন শেষে বর পক্ষের লোকজনের অপেক্ষায় ছিল কনে পক্ষ। কিন্তু সে আনন্দে পানি ঢেলে দেন প্রশাসন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে সেখানে ছুটে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির। এমন সময় কনে পক্ষের লোকজন প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবর্তে বিয়ের পিঁড়িতে ছাত্রীর বড় ভাই জয়নালের স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে বধূ সেজে বসিয়ে দেন।
ভাবিকে কনের জায়গায় বসিয়ে দিয়ে প্রশাসনকে বোকা বানানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিষয়টি সন্দেহ হলে বিয়ের পিঁড়িতে বসা ভাবিকে সত্য প্রকাশের জন্য চাপ দেন।
তখন বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে স্বীকার করেন প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতেই ননদের (ছাত্রী)পরিবর্তে তার ভাবিকে বধূ সাজানো হয়। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বর পক্ষ বিয়ে বাড়িতে না এসে সটকে পড়েন।
এ ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কনের বাবা বাবলু মিয়ার ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বাল্যবিয়ে না দেয়ার শর্তে ছেড়ে দেন।
তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন মুকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।টের পেয়ে ননদের পরিবর্তে বিয়ের পিঁড়িতে বধূ সেজে বসলেন ভাবি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।