এতিম ভাতিজাদের জমি আত্মসাৎ আদালতের নির্দেশে কারাগারে চাচা রবিন ভূঁইয়া
সুমা আক্তার লুবনা,গাজীপুরঃ
আব্দুর রব ভূঁইয়া ওরফে রবিন ভূঁইয়া গাজীপুরের এক পরিচিতি ত্রাস এর নাম। কিছুদিন পূর্বেই গাজীপুরের ইদ্রিস হত্যার মামলায় মূল আসামি হিসেবে হাজত বাস করে জামিনে এলাকায় ফেরত এসেই শুরু করেন ত্রাসের রাজত্ব। আমেরিকার প্রবাসী এতিম ভাতিজাদের মাতা মারা যাওয়ার আগে রবিন ভূইয়া কে অনেকবার অনুরোধ করলেও রবিন ভূইয়া তাকে পথের কাঁটা হিসেবে জ্ঞাত করিয়া ঢাকা এবং গাজীপুরে দুইবার হত্যার চেষ্টা করলেও গত জুলাই, ২০২১ইং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে RAB টিকাটুলির কার্যালয়ে নিয়ে আসে। আত্মীয় বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য তার বড় ভাবি RAB কে অনুরোধ করেন। কিন্তু লালসাপ্রস্থ রবিন ভূঁইয়া ঠিকই তার অপকর্ম অব্যাহত রাখে। এর কিছুদিন পরে অন্য ওয়ারিশদের জমি আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে তাদের ফাঁসানোর জন্য রবিন ভূঁইয়া হত্যা করে নিরীহ ইদ্রিসকে যা উদঘাটন করেন পিবিআই।
বর্তমানে পুনরায় আদালত কর্তৃক ইদ্রিস হত্যার মামলার আসামি জামিনে থাকার মূল আসামি রবিন ভূঁইয়াকে জেল হাজতে প্রেরণের পর তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় জেলা -গাজীপুর, থানা ও সাব রেজিস্টার অফিস কাপাসিয়া, শহরটেক মৌজাস্থিত আর এস দাগ খতিয়ান নং ৬০,৩২২,৩২৪,৩২৬,ও ৩২৭ দাগ হইতে এতিম ভাতিজাদের প্রায় তিন কোটি ২২ লক্ষ টাকার জমি জাল জালিয়াতি এবং গোপন করিয়া নিজে মালিক সাজিয়া প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করিয়া সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করে ফেলেছেন। এমতাবস্থায় জমির পাওয়ার প্রাপ্ত কেয়ারটেকার,শত অনুরোধ করলেও রবিন ভূঁইয়া তাতে কর্ণপাত করেন না। বরং এই বলে তিনি হুমকি দেন এক খুনে এক ফাঁসি হাজার খুনেও এক ফাঁসি _যদি কোনরকম বাড়াবাড়ি করা হয় তাহলে তিনি পাওয়ার দাতার গ্রহীতার নাম মার্ডার মামলায় ঢুকিয়ে দিবেন।
পরবর্তীতে প্রাণভয়ে দায়িত্বের তাগিদে পাওয়ার গ্রহীতা নিজে ইদ্রিস হত্যার মূল কারিগর রবিন ভূঁইয়ার নামে ৪২০ ধারায় বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী কোনাবাড়ি) আদালত, গাজীপুরে গত ১৪/০৫/২০২৩ ইং তারিখে ৩১/৯/২০২৩ নং মামলা করিয়া আইনের আশ্রয় নেন। আদালত রবিন ভূঁইয়ার অপরাধের প্রকৃতি এবং প্রমাণ বিবেচনায় তাকে গত ১৭ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করলে রবিন ভূইয়াকে করা পাহারায় জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবরে কাপাসিয়া এলাকার মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেন এবং আনন্দ উদযাপন করেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন।
এই কথার প্রতিউত্তরে ইদ্রিস হত্যারকান্ডে রবিন ভুঁইয়ার সহযোগীরা বলেছেন এক মাঘে শীত যায় না। তারা মামলাকারিকে হুমকি শুরু করলে পাওয়ার গ্রহিতা মামলাকারী প্রানভয়ে আত্মগোপনে যান। উল্লেখ্য যে রবিন ভূঁইয়ার জন্য এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সর্বদা আতংকে থাকে। রবিন ভুঁইয়া বলপ্রয়োগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি আত্মসাৎ করেছে বলে জানা যায়। এ ছাড়াও ওয়ারিশদের ভুমিও আত্মসাৎ করে ফেলেছেন অন্যান্য ওয়ারিশগন এবং এলাকাবাসী থেকে জানা যায়। নতুন ভূমি আইন ২০২৩ পাস হওয়ায় এলাকাবাসী অনেক আনন্দিত যে এ আইনএর আওতায় এনে রবিন ভুঁইয়া ও তার সহযোগিদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করে এলাকায় ভুমি দখল রোধ এবং শান্তি আনয়ন সম্ভব হবে।