রংপুরের পীরগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টা
মোস্তফা মিয়া পীরগঞ্জ রংপুর থেকে:
রংপুরের পীরগঞ্জে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবীতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১০ মে) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে লতা রানী নামে ওই গৃহবধূ।
এর আগে গত শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার এ্যাকবারপুর বাজারপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, পাঁচ বছর আগে মিঠাপুকুর উপজেলার ১১ নং বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান হিন্দু পাড়া এলাকার শ্রী সুকুমার চন্দ্র গোস্বামীর মেয়ে লতা রানীর সাথে পীরগঞ্জ উপজেলার একবারপুর বাজার এলাকার শ্রী- রাজকুমার বর্মনের ছেলে স্বপন চন্দ্র বর্মনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবীতে লতা রানীকে মারধর করে স্বামীসহ তার শাশুড়ী ও ননদেরা। দাম্পত্য জীবনে একবছরের মাথায় তাদের কোলজুড়ে ছেলে সন্তানের জন্ম হলেও নির্যাতন কমেনি ওই গৃহবধূর।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ঘটনারদিন সন্ধ্যায় স্বামী স্বপন চন্দ্র বর্মন তার মা ও বোনের কথামতো নিজ ঘরে প্রবেশ করেই স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে বলে। ওই গৃহবধূ যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করলে স্বামী স্বপন চন্দ্র বর্মন ঘর থেকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে উঠোনে ফেলে। এসময় অপর আসামী স্বপনের দুই বোন কুমারী রুপা রানী(৩৫), কুমারী তমা রানী(১৯) ও মা গীতা রানী (৫০) বাড়ির উঠোনেই ওই গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে।
এঘটনায় পরদিন ওই গৃহবধূর বাবা তাদের বাড়িতে গেলে দ্বিতীয় দফায় বাবা ও মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ পরে আহত অবস্থায় পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। চোখে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় বর্তমানে ওই গৃহবধূ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন জানান, পারিবারিকভাবে দুইপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উভয়েই আহত হয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগের তদন্ত চলছে।