গাজীপুর জেলা শিক্ষা সহকারী প্রোগ্রামার এর বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ,আদালতে মামলা
: মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারী২০২৫ ইং গাজীপুর মহানগরের ২৫ নং ওয়ার্ডস্থ ভূরুলিয়া মৌজায় ৯.৯০ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক কবীর শাহাদাৎ। বিক্রেতা রমা রানী দাস, যার দলিল নং ১৬৩৩৭/২০২৩ ইং এর বিরুদ্ধে ৬ ফুট জায়গা অতিরিক্ত দখলের অভিযোগ উঠেছে ।
দলিলসূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বরে সাব-কবলা দলিল মূলে ক্রয়কারী গাজীপুর জেলা শিক্ষা সহকারী প্রোগ্রামার কবীর শাহাদাৎ।
যার সিএস ১২২,এস এ ২০৪ আর এস ২২১ খতিয়ানে। বর্তমানে সিএস ও এস এ ৩২৫ আর এস ৫৬৩ দাগে ২২১ নং খতিয়ানে মোট ৭০ শতাংশ (পুকুর) জমির কাতে ৯.৯০ শতাশ জমি।
উল্লেখিত জমির শ্রেনী পরিবর্তন পূর্বক ভারী শিল্প কারখানা নির্মান করতে গেলে নানা অভিযোগ ওঠে কবীর শাহাদাৎ এর বিরুদ্ধে।
উক্ত তফসিল বর্নিত জমির উত্তরে বসবাসকারী এ্যাড. ওমর ফারুক পারভেজ অভিযোগ করেন,কবীর শাহাদাৎ একজন সরকারী কর্মকর্তা হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আবাসিক এলাকায় ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মান করছেন। বেআইনি ভাবে অনধিকার প্রবেশ করে আমার ক্রয়কৃত ৫৬০ নং দাগে জমির সীমানায় ৬ ফুট দখল করে ভবন নির্মান করেছেন। আমি আইনজীবী হওয়ায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির প্রত্যাশায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি,যার নং ৪৮৯/২০২৪ইং ।
আদালতের মামলায় নথিপত্র যাচাই করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ইং হইতে পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৭/২/২০২৫ পর্যন্ত স্থিতাবস্থা থাকবে মর্মে উল্লেখ করেন।
আদালতের আদেশ অমান্য করে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির বলয়ে বহুতল ইমারত নির্মান কাজ চলমান রাখেন কবীর শাহাদাৎ।
অপর দিকে,গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ১৫/১/২০২৫ ইং চিঠিতে উল্লেখিত ৭ দিনের মধ্যে অনুমোদিত নকশাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে বলা হলেও কর্নপাত করেননি কবীর শাহাদাৎ।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইমারত নির্মান সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে দিব্বি নির্মান কাজ চালিয়েছেন কবীর শাহাদাৎ।
প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তর নিম্নে
প্রশ্ন: কি ধরনের পন্য উৎপাদন করবেন ?
কবীর শাহাদাৎ বলেন,প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য।
প্রশ্ন:ব্যাংক লোন করেছেন নাকি ব্যক্তিগত টাকায় জমি কিনেছেন ?
উ: এটা আপনার জানার বিষয় নয়।
প্রশ্ন: পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়েছেন কি ?
উ: আবেদন করেছি। যখন প্রয়োজন হবে,তখন দেখা যাবে।
প্রশ্ন: আবাসিক এলাকায় ভারী শিল্প কারখানা কিভাবে সম্ভব ?
উ: এটা কোনো বড় বিষয় নয়।
প্রয়োজন হলে দেখা যাবে।
প্রশ্ন: সরকারী চাকুরীজিবী হয়ে জমি কেনার এত টাকা কোথায় পেলেন?
উত্তর: সব টাকা আমার স্ত্রীর।
প্রশ্ন: আপনার স্ত্রী কি করেন?
উত্তর: সে একজন ব্যবসায়ী,আমাদের আরও একটি ফ্যাক্টরী আছে।
আপনার স্ত্রী অন্য কিছু করেন?
উত্তর: জ্বী না। ফ্যাক্টরী নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
প্রশ্ন: ফায়ার লাইসেন্স নিয়েছেন ?
আবেদন করেছি।
প্রশ্ন: অভিযোগ আছে, অন্যের জমি দখল করেছন!
উত্তর: মামলা চলমান,এটা আদালতের বিষয়, আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবেন,সেটাই মেনে নিবো।
প্রশ্ন: সরকারি চাকুরিতে কত সালে যোগদান করেছন?
উ: ২০০৪ সালে।
প্রশ্ন: জমির শ্রেণী পরিবর্তন করলেন কেন?
উ: ওটা এসিল্যান্ডের বিষয়। আমি কাগজপত্র দিয়েছি। সেই অনুযায়ী আমার খারিজ দিয়েছেন।
কবীর শাহাদাৎ আরও বলেন, ওমর ফারুক পারভেজ সাহেবকে একাধিকবার বলেছি,স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করার। তিনি আমার কথায় সাড়া দেননি। উপরোন্ত আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
অপর দিকে, আইনজীবি ওমর ফারুক পারভেজ বলেন, সরকারী চাকুরীজীবি হয়ে অদৃশ্য শক্তির বলয়ে আবাসিক এলাকায় ভারী শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে আশপাশ এলাকায় শব্দ দুষণ,পরিবেশ দুষণসহ নানাবিধ অসুবিধায় পড়ব আমরা।
তারপরেও আমার ক্রয়কৃত উল্লেখিত মৌজায় ৫৬০ দাগের ৬ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে সরকার বাহাদুর এর সকল আইন-কানুন মেনে প্রতিষ্ঠান চালু করলে আমারও কোনো আপত্তি থাকবে না।